অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ফিফা সভাপতি। তিনি সেখানে, ‘ফুটবলকেই সব কিছুর উর্ধ্বে তুলে ধরুন’ এই শিরোনামে ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো এবং সেক্রেটারি ফাতিমা সামুরা বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার আগে এ আহ্বান জানান।
সেই চিঠিতে ফিফা সভাপতি এবং সেক্রেটারি লিখেন, ‘দয়া করে ফুটবলেই আপানারা সব মনযোগ নিবদ্ধ করুন। পৃথিবীতে যত আদর্শিক এবং রাজনৈতিক মত-পথ আছে, এসবের সঙ্গে ফুটবলকে কোনোভাবেই গুলিয়ে ফেলবেন না।’
২০১০ সালেই কাতার বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা লাভ করে। এরপর যত বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশটিকে কেন্দ্র করে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য শ্রমিকদের নিম্ন মজুরি দেয়া, অমানবিক আচরণ করা এবং ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দেয়ার অভিযোগ।’
বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে কাতারকে নিয়ে বিশ্বব্যাপি কম রাজনীতি হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হওয়ার কারণে কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনটা যেন পশ্চিমা বিশ্ব কোনোভাবে মেনেই নিতে পারছিল না। এমনকি যারা বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে তারা এখনও পর্যন্ত নাক সিটকাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে। অথচ, এই বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে কাতার এতবেশি পরিমাণ ব্যায় করেছে যে, যা কয়েকটা বিশ্বকাপের সমান।
কাতারকে নিয়ে বিশ্বব্যাপি এই রাজনৈতিক খেলা নিয়ে ওয়াকিবহাল ফিফাও। এ কারণে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক দুই সপ্তাহ আগে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশকে সতর্ক করে দিয়েছেন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে।
তারা জানে, এবারই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রভাব থাকছে বিশ্বকাপের ওপর। এ কারণে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে আধুনিক সময়ের সবেচেয় বেশি রাজনৈতিক প্রভাবাধীন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে, তারা যেন বিশ্বকাপে এসে রাজনীতি নয়, খেলার দিকেই সবচেয়ে বেশি মনযোগ দেয়।