অফিসে থাকলে সব কাজ বসে বসে করতে হয়। যত বসে থাকবেন তত স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি বাড়বে। প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর দাঁড়ান আর হাত-পা ছুড়ে দিন। তা না হলে সময়ের আগেই স্বাস্থ্য হারাতে হবে।দেখা দেবে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা
যাঁরা ড্রাইভ করেন তাঁদের অনেকটা সময় বসে কাটাতে হয়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা দাঁড়িয়ে কাজ করেন, তাঁদের তুলনায় বসে কাজ করা ব্যক্তিদের হৃদরোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেশি।
আয়ু কমতে পারে
প্রতিদিন অনেকক্ষণ বসে কাজ করেন বা করতে হলে আগেই মৃত্যুর ঘণ্টা বাজতে পারে। ব্যায়াম করলেও এর প্রভাব তেমন এড়ানো যায় না।
ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা বাড়ে
খুব বেশি সময় বসে থাকলে বা হাঁটা-চলা কম করলে মস্তিষ্কটা যেন স্থবির হয়ে পড়ে। মস্তিষ্ক সচল না থাকলে ডিমেনশিয়া হওয়ার আশঙ্কা জোরালো। সারা দিন হাঁটা-চলা করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমে।
ব্যায়াম করেও ক্ষতি এড়ানো যায় না
কাজেই হোক বা অকাজে হোক, খুব বেশি বসে থাকেন। এরপর যতই ব্যায়াম করুন এর ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে পারবেন না। একটানা দিনে সাত ঘণ্টা বসে থেকে সপ্তাহে সাত ঘণ্টা ব্যায়াম বা জিম করলেও ফল পাবেন না।
ডায়াবেটিসের জটিলতা বাড়ে
বসে থাকলে ক্যালরি কম পোড়ে। বিজ্ঞানীরা বলেন, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে শরীর ইনসুুলিনের প্রতি প্রতিক্রিয়া করতে সময় নেয়। কেন সময় নেয়, তা এখনো অজানা। ইনসুুলিন হরমোন রক্তের গ্লুুকোজ কোষে ঢোকাতে সাহায্য করে।
পায়ের শিরায় হতে পারে থ্রম্বসিস
একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ডিপ ভেইন থ্রমবোসিস (ডিভিটি)। অনেক সময় বসে থাকলে পায়ের শিরায় রক্তের জমাট হয় বা ক্লট হয়। দীর্ঘ বিমানযাত্রায় এমন সমস্যা হয়।
পিঠে চাপ পড়ে
বেশি বসে থাকলে পিঠের পেশি, স্পাইন, ঘাড়ে খুব চাপ পড়ে। আর জবুথবু হয়ে বসলে বা অলস ভঙ্গিতে বসলে সমস্যা বাড়ে। স্পাইন বা শিরদাঁড়া লাইনমতো রাখতে হলে আধা ঘণ্টা পর পর উঠে হাঁটুন।
হাঁটা-চলায় অনীহা থেকে হতে পারে
হাঁটতে-চলতে অনীহা থাকায় অনেক নারী অস্টিওপোরোসিস রোগে ভোগেন। বয়স হলে দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়েও সমস্যায় পড়েন। হাঁটা-চলা না করলে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, স্ট্রোক, কলোন, ফুসফুস, জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।