১১ লাখ টাকার হিসাব না মেলায় সম্প্রতি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন দিনাজপুর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএডিসি)কর্মরত স্টোরকিপার হাফিজুর রহমান (২৫)। এতে হতাশায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
দিনাজপুর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএডিসি) স্টোরকিপার হিসাবে কাজ করতেন হাফিজুর রহমান (২৫)। সেখানে ১১ লাখ টাকার হিসাব না মেলায় সম্প্রতি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি। হতাশায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন হাফিজুর।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের হিয়াতপুর রেলসেতুর কাছে ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকায় কেটে নিহত ওই ব্যক্তির নাম হাফিজুর রহমান (২৮)। এক কন্যা সন্তানের জনক হাফিজুর পাশ্ববর্তী সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের ফলিয়াপাকুরতলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল খালেকের কনিষ্ঠ পুত্র। শালমারা ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিস ট্রেনে কেটে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, দিনাজপুর বিএডিসিতে স্টোরকিপার হিসাবে কর্মরত ছিলেন হাফিজুর রহমান। সেখানে ১১ লক্ষ টাকার হিসাব না মেলায় সম্প্রতি চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি। জমা দেয়ার জন্য এই টাকা সংগ্রহের জন্য গত শনিবার তিনি বাড়িতে আসেন। পরিবারের কাছে ১১ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে চাইলে কিছুটা বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় স্বজনদের সাথে। পরে কাউকে না জানিয়ে রাত ১০টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের লালমনিরহাট-সান্তাহার রেলপথের ৩৫৩ কিলোমিটার এলাকার ৪২ নম্বর হিয়াতপুর রেলসেতুর উত্তর দিকের রেল লাইনের ওপর ও সেতুর নিচে পানিতে পড়ে যাওয়া তার খন্ড-খন্ড মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে তার মরদেহ সনাক্ত করে।
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কারণেই হাফিজুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন।বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।