ফরম পূরণের টাকা দিয়েও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার শিমুলতলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ৬০ জন পরীক্ষার্থী। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক মোরশেদা আক্তার ফরম পূরণের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন।এর ফলে গতকাল রোববার থেকে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষা দিতে পারেননি ওই পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান আতিফ জানান, কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক মোরশেদা আক্তার ফরম পূরণের নামে তাদের কাছে মাথাপিছু চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা হারে জমা নেন। কিন্তু টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জমা না দেওয়ায় তাদের ফরম পূরণ হয়নি। ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রে তাদের প্রবেশপত্র কলেজে আসেনি। তাই বসতে পারেননি পরীক্ষায়।
আতিফের মতো অবস্থায় পড়েছেন কলেজের আরও ৫৯ জন। পরিক্ষার্থী ইসমা আক্তার বলেন, পরীক্ষা দিতে পারি নাই। কেন্দ্রে যায়ে ঘুইরে আসছি। খুব খারাপ লাগতাছে। পরীক্ষা না দেয়ার কারনে। আমরা চাই যে, পরবর্তী যে পরীক্ষা, ১০ তারিখের পরীক্ষাটা যাতে দিতে পারি। আজকে দিতে না পারলেও সেটা যাতে দিতে পারি।অভিভাবকদের দাবি, কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক মোরশেদা আক্তার ফরম পূরণের জন্য পরীক্ষার্থী প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। তবে পরীক্ষা শুরুর ২ দিন আগে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় মোরশেদা আক্তারের খোঁজ শুরু হলে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
এ দিকে মোরশেদা আক্তারকে না পেয়ে রোববার তার বাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা যাতে পরবর্তী পরীক্ষায় অংশ নিতে সেজন্য উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান রুমান।তিনি বলেন, যিনি প্রিন্সিপাল আছেন। তাকে আমি বোর্ডে প্রেরণ করেছি। তিনি ওখানে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে যদি সম্ভব হয়। তাহলে এইসব পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করবে। আর কেনো তাদের ফরম ফিলাপ করা হয়নি এবিষয়ে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তদন্ত সাপেক্ষে।তবে, কলেজটি থেকে ওই ৬০ জন পরীক্ষা দিতে না পারলেও এইচএসসিতে বসেছেন আরও ১২৪ শিক্ষার্থী।