প্রবল মাথা যন্ত্রণা, সারা ক্ষণ নাক জ্বালা এবং বন্ধ হয়ে থাকা, মাথায় ভার হয়ে থাকা— সাইনাসের এই উপসর্গগুলি নিয়ে অনেকেই নাজেহাল থাকেন। সারা বছরই সাইনাসের সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু শীতকালে ঠান্ডা লেগে এর সমস্যা বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত সাবধান হওয়া দরকার।
ধীরে ধীরে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে । এই মৌসুমে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন । ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন ঘটে, সেই অনুযায়ী মানুষের শরীর ততটা সামঞ্জস্য গ়ড়ে তুলতে পারে না। ফলে যে কোনও ঋতুবদলের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে নানা রোগ-ব্যধি দেখা দেয়। এ কারণে শীতকাল পড়তেই মানুষ ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হন। সর্দি, কাশি, জ্বর, ঘন ঘন হাঁচি লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ে সাইনাসের সমস্যাও।
সাইনাস থেকে বাঁচতে কোনও মতেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। এখন থেকেই ফুলহাতা পোশাক পরা শুরু করুন। আইসক্রিম, ঠান্ডা কোনও পানীয় বেশি খাবেন না। এছাড়াও শীতে সুস্থ থাকতে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. সাইনাস থেকে স্বস্তি পেতে গরম পানিতে ভাপ নিতে পারেন। এতে বন্ধ নাক খুলে যায়। সাইনাস সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকটা কম থাকে। প্রয়োজনে পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ। দিনে ৩-৪ বার এই ভাপ নিলে সাইনাসের সমস্যা অনেকটা দূরে থাকবে।
২. পানিতে ১ চামচ হলুদ, সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া এবং রসুনের ৪-৫টি কোয়া মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ইচ্ছা হলে মিশ্রণটিতে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। সকাল-বিকাল এই পানীয় পান করলে অনেকটা সুস্থ থাকা যাবে।
৩. সাইনাসের সমস্যা দূরে রাখতে আদা এবং হলুদ একসঙ্গে বেটে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাকে এবং কপালে আলতো করে ওই মিশ্রণটির প্রলেপ লাগিয়ে নিন। উপকার পাবেন।
৪. সাইনাসের সমস্যা দেখা দিলে সব কিছু গরম করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। গরম চা থেকে শুরু করে গরম খাবার, সবই সাহায্য করে। সারা দিনে বেশ কয়েক বার চা খেতে পারেন। গরম পানীয় ভিতরে গেলে জমে থাকা কফ বাইরে বেরিয়ে আসবে। তাতে শরীর আর্দ্র থাকবে।
৫. পুদিনায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান। সাইনাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকতে বানিয়ে নিতে পারেন পুদিনার চা। অ্যালার্জি, সর্দি, কাশির চিকিৎসার সমস্যাতেও এই চা দারুণ কার্যকরী।