বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুসারে, সারা দিনে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বার দাঁত মাজা উচিত। সকালে একবার এবং রাতে আরেকবার। অর্থাৎ, রাতে খাবার খাওয়ার পরে দাঁত মেজে নিতে পারেন। এটা খুবই স্বাস্থ্যকর এবং ভালো একটি অভ্যাস।
সকাল বেলা অনেকে দাঁত না মেজে নাস্তা করেন, তারপর দাঁত মাজেন। এটা করা কতটা স্বাস্থ্যকর? চিকিৎসকদের মতে, দাঁত মাজার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। তবে নিয়ম করে দাঁত মাজাটা জরুরি। দাঁতের খেয়াল রাখতে কখন দাঁত মাজছেন, সেটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।অন্ত্রের পর মুখগহ্বর হলো জীবাণুর আতুঁড়ঘর। দাঁতের ফাঁকে খাবারের অবশিষ্ট অংশ জমা হয়ে যায়। দীর্ঘদিন খাবারের টুকরো জমতে জমতে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হয়। যা মুখের ভেতরে সংক্রমণজনিত সমস্যা ডেকে আনে। দাঁতের ক্ষয় হয়। মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়।
আসলে সকাল কিংবা রাত, খাবার খাওয়ার পরই দাঁত মাজা উত্তম। যদিও বাস্তবে তা সম্ভব হয় না। তবে প্রতিবার সম্ভব না হলেও অন্তত সকাল ও রাতে দুবার দাঁত মাজতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত মাজার বদলে সকালের নাস্তার পর দাঁত মাজা অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত।
পাশাপাশি প্রতিদিন নৈশভোজের পর দাঁত মেজে নেওয়াও আবশ্যিক। সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার নিয়ম আদৌ খুব একটা উপকারী নয়। বরং রাতে খাওয়ার পর দাঁত মাজা অনেক বেশি জরুরি।কারণ, আর কিছুই নয় রাতে খাওয়া দাওয়ার পর দাঁত না মাজলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে মুখে জীবাণু জমতে থাকে। দাঁতেরও যা ক্ষতি হওয়ার হয়েই যায়।
কাজেই তারপর সকালে উঠে দাঁত মাজলেও বিশেষ লাভ হয় না। রাতে খাওয়ার পর দাঁত মেজে ঘুমাতে যেতে হবে। সকালে উঠে দাঁত মাজলেও ভালো। তবে সম্ভব হলে সকালে এবং রাতে খাবারের পর দুই বেলাই দাঁত মাজা খুবই স্বাস্থ্যকর।