সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রায়পুর পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, হাট-বাজারের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে শতাধিক ফার্মেসি। এর মধ্যে অনেক ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স নেই। লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসিতে অদক্ষ বিক্রয়কর্মীরা ওষুধ বিক্রি করছেন।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে অধিকাংশ ফার্মেসি। ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না এসব ফার্মেসিতে। অভিযোগ রয়েছে, লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসিতে বিক্রি করা হচ্ছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও করা হচ্ছে এসব ফার্মেসিতে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন উপজেলাবাসী। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ফার্মেসিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে অবৈধ বিদেশি ওষুধ। ক্রেতাদের কাছে বিদেশি ওষুধ বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ডা. বাহারুল আলম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রায়পুরে অনেক ওষুধের দোকান রয়েছে। তবে হাতেগোনা কয়েকটি ফার্মেসিতে ডিপ্লোমাধারী ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। ১৯৪৬ সালের ড্রাগস রুল অনুযায়ী ফার্মাসিস্ট ও ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ মজুত, প্রদর্শন ও বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কিন্তু এসব বিষয়ে আমরা কোনো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারি না।’এ বিষয়ে কথা বলতে লক্ষ্মীপুর জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন দাস বলেন, ঔষধ প্রশাসনের দায়িত্ব ফার্মেসিগুলো দেখাশোনা করা। ঔষধ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মোবাইল কোর্ট চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।