গত ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধনের পর মধুমতি সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ওই দিনগত রাত ১২টা ১মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। এ সেতুতে ঢাকা-কলকাতা রুটের বাসসহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করছে।মধুমতি সেতুতে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে, বড় ট্রেইলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, কনভারশন জিপ ও রেন্ট-এ-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারি চালিত তিন চাকার যানবাহন ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতি সেতু উদ্বোধনের পর এক মাসে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি দুই লাখ ৯৬ হাজার ৬৯০ টাকা।গত ১১ অক্টোবর রাত ১২টা ০১ মিনিট থেকে বুধবার (৯ নভেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত এ টোল আদায় করা হয়।টোল প্লাজার আটটি বুথের মধ্যে পাঁচটি চালু করা হয়েছে।যানবাহন চলাচল শুরুর প্রথম এক মাসে সেতু পারাপার হয়েছে ছোট-বড় এক লাখ পাঁচ হাজার ৪২৫টি যানবাহন।গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস টোল আদায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেতুটি চালু হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, যশোর, খুলনা, বেনাপোল, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। কমেছে পথের দূরত্ব। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই পার হওয়া যাচ্ছে মধুমতি নদী।