এই প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে কাতার। স্বাগতিক হিসেবে তারা সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আগামী ২০ নভেম্বর ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তাদের স্বপ্নের যাত্রা শুরু হবে। গ্রুপ-এ’তে আরও রয়েছে সেনেগাল ও নেদারল্যান্ড।গত জুন থেকে সানচেজ তার দল নিয়ে স্পেন ও অস্ট্রিয়ায় নিবিড় প্রশিক্ষণে ব্যস্ত রয়েছেন। ২০ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়াও স্বাগতিক হিসেবে একইভাবে নিজেদের যথাযথ প্রস্তুত করে ঘরের মাঠের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ২০০২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছিল।
বিদেশী লিগে খেলোয়াড়রা নয়, বিশ্বকাপ দলে ঘরের মাঠের খেলোয়াড়দের উপরই আস্থা রেখেছেন কাতারের কোচ ফেলিক্স সানচেজ। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিশ্বকাপের জন্য ২৬ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে স্বাগতিক কাতার। যেখানে ঘরোয়া লিগের তারকা আকরাম আফিফ, আলমোয়েজ আলি ও হাসান আলি-হায়ডসের মত নামগুলো নিয়ে আত্মবিশবাসী মনোভাব পোষণ করেছেন সানচেজ।
বার্সেলোনার যুব দলের হয়ে ১০ বছর কাজ করেছেন সানচেজ। তার অধীনে ২০১৯ এশিয়ান কাপের ফাইনালে শক্তিশালী জাপানকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে কাতার প্রথমবারের মত বড় কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা ঘরে তুলেছিল। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কাতে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সানচেজ বলেছেন, ‘২০১৯ সালে এশিয়ান কাপ জেতার কল্পনা করাও কাতারের জন্য কঠিন ছিল। অবশ্যই আমি বিশ্বকাপ জেতার কথা বলছি না। কিন্তু গ্রুপ পর্বে তিনটি দেশের বিপক্ষে ভাল ফুটবল উপহার দেয়াই আমার মূল লক্ষ্য। আমার কাছে এটি একটি চ্যালেঞ্জ। এটা ফুটবল, যেখানে অনেক কিছুই হতে পারে।’
কাতার স্কোয়াড :
গোলরক্ষক: সাদ আলসাহেব, মেশাল বারশাম, ইউসুফ হাসান
ডিফেন্ডার: পেড্রো মিগুয়েল, মুসাব খিদির, তারেক সালমান, বাসাম আল-রাউই, বুয়ালেম খুখি, আবদেলকারিম হাসান, হোমাম আহমেদ, জাসেম গাবের
মিডফিল্ডার: আলী আসাদ, আসিম মোদিবো, মোহাম্মদ ওয়াদ, সালেম আল-হাজরি, মোস্তফা তারেক, করিম বোদিয়াফ, আবদেলাজিজ হাতেম, ইসমাইল মোহাম্মদ
ফরোয়ার্ড: নায়েফ আল-হাদরামি, আহমেদ আল-ওয়াতানি, হাসান আল-হায়দোস, খালেদ মুনির, আকরাম আফিফ, আল-মৌজ আলী, মুহাম্মদ মুনতারি।