নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর উন্মুক্ত জলাশয়ে ৫ শতাধিক মালবাহী ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বালু মহালের ইজারাদারের বিরুদ্ধে। গত ৬ নভেম্বর এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এখলাছ উদ্দিন(৪৮)। তবে অভিযোগ দেওয়ার ৮দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি প্রশাসন।অভিযোগে জানা যায়, কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই নদীর ১ নম্বর বালু মহালের ইজারাদার ধনেশ পত্রনবীশ ও ২ নম্বর বালু মহালের ইজারাদার মো. ফারুক মিয়া নদীর জলধারায় মালবাহী ট্রলার ও নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে বিপাকে পড়েছে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাজারো শ্রমিক ও ট্রলার মালিক। ১ মাস ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।
১ নম্বর বালু মহালের ইজারাদার ধনেশ পত্রনবীশ বলেন, ‘সোমেশ্বরী নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। সেজন্য ট্রলার ও নৌকা চালিত ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নৌকা চলাচল বন্ধে নদীতে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। ইউএনও স্যার এ বিষয়ে আমাকে ডেকেছিলেন।’এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান বলেন, ‘ট্রলার ও নৌকা চলাচল বন্ধের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল ঘটনার তদন্ত করব। পরবর্তীতে সে বিষয়ে যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তাই করা হবে।’