যারা রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মান করে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি এমন একটি আইন প্রণয়নের জন্য প্রেসিডেন্সিয়াল সংশোধনীর প্রস্তাব করেছেন। রোববার (১৩ নভেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই সংশোধনীর প্রস্তাব মূলত আনা হয় রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ স্টেট ডুমায়। চলতি বছরের এপ্রিলে আনা সেই সংশোধনীতে প্রস্তাব করা হয়েছিল, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য জনসাধারণের মধ্য প্রচার করা হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে যারা রুশ নাগরিক তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হবে।
বিলটির মূল নথিতে জানানো হয়, কোনো রুশ নাগরিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক পাচার ও নথি জালিয়াতি করলে সেই অপরাধে তাকে বা তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে আরও একটি সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। রুশ কোনো নাগরিক বিদেশি বা আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার অধীনে কাজ করার সময় রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি প্রতিকূল বলে বিবেচিত এমন কোনো কাজ করলে তাও সেই ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য যথেষ্ট কারণ বলে বিবেচিত হবে।
এছাড়া, এই সংশোধনী প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন, রুশ সামরিক বাহিনীকে অসম্মান করা, প্রকাশ্যে চরমপন্থার আহ্বান জানানো, সরকারি কর্মকর্তাদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতীক ও পতাকার অপব্যবহারের লক্ষ্যে যেকোনো পদক্ষেপের আহ্বানকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।