বৈদেশিক বাণিজ্যর লেনদেন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক অনুমোদন নেওয়া বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলো এডি শাখা নামে পরিচিত। দেশের এমএফএস সেবা দাতা বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আসা আইটি খাতের রপ্তানি আয়ের বিপরীতে লেনদেনের তথ্য বিবরণীর বিপরীতে সনদ ইস্যু করবে এডি শাখা। শুধু রপ্তানি আয়ের যেটুকু এনক্যাশমেন্ট অর্থাৎ নগদায়ন করা হয়েছে, তার পক্ষে এ সনদ ইস্যু করতে পারবে এডি শাখাগুলো। যা ব্যাংকের কাছ থেকে সংগ্রহ করে গ্রাহককে সরবরাহ করবে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো।
গ্রাহক ঐ সনদ তার আয়কর বিবরণীতে সংযুক্ত করতে পারবে আয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে। এর আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এমএফএস হিসাবের মাধ্যমে শুধু আইটি খাতের রপ্তানি আয় সীমিত পরিসরে আনার সুযোগ দিয়ে সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। রপ্তানি আয় পেলেও তা আয়কর বিবরণীতে সংযুক্ত করতে বিপত্তি দেখা দেয় আইটি খাতের ব্যবসায়ী ও ফ্রিল্যান্সারদের।আয়ের প্রমাণপত্র দেওয়ার সুযোগ না থাকায় এ বিপত্তি দেখা দেয়। সেই বাধা দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি আয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে সনদ দেওয়ার অনুমতি দিল। করোনা ভাইরাস মহামারির সময় থেকেই মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে। এখন ঘরে বসেই এসব সেবার হিসাব খোলা যাচ্ছে। ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আসা এ রপ্তানি আয় ‘টাকা হিসাবে’ রূপান্তর করে এমএফএস হিসাবেও নেওয়ার সুযোগ করা হয়।
ফ্রিল্যান্সিংসহ তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে দেশে আনতে ইতিপূর্বে দেওয়া সুযোগের পর এ সংক্রান্ত লেনদেনের সনদ ইস্যু করার ক্ষমতা পেল ব্যাংকের এডি (অথোরাইজড ডিলার) শাখাগুলো।গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে রপ্তানি আয় সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সনদ তৈরি হবে। যেখানে রপ্তানি আয়ের সুবিধাভোগী অর্থাৎ প্রাপকের ওয়ালেট নম্বর, টাকার পরিমাণ, বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য অবশ্যই সংযুক্ত থাকবে। ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় সনদ তৈরি হওয়ায় কিউআর কোড সুবিধাও থাকতে হবে ঐ সনদে।