উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে যে, পিয়ংইয়ংয়ে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বশেষ উৎক্ষেপণের পর্যবেক্ষন করেন কিম।স্ত্রী-কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষন করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এরপরই তিনি বলেছেন যে, পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে মার্কিন হুমকির জবাব দেওয়া হবে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) শনিবার বলেছে যে কিম ‘তার প্রিয় কন্যা এবং স্ত্রীর সঙ্গে’ উৎক্ষেপণে অংশ নিয়েছিলেন।
প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে যে, কিম একটি বিশালাকার কালো-সাদা ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে হাঁটছেন। তার সঙ্গে একটি একটি পাফার জ্যাকেট এবং লাল জুতা পরিহিত অল্পবয়সী মেয়ে।সাধারণত কিমের সন্তানদের প্রকাশ্যে কখনো দেখানো হয় না। ছবি প্রকাশ করার ঘটনাও বিরল। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রথমবারের মতো কিম কন্যাকে প্রকাশ্যে আনলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উত্তর কোরিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার রেকর্ড গড়েছে। কোরীয় অঞ্চলে মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে এসব পরীক্ষা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।শুক্রবারের উৎক্ষেপণটি ছিল উত্তর কোরিয়ার নতুন ধরনের আসিবিএম। কেসিএনএ বলেছে যে, ‘পরীক্ষা-আগুন স্পষ্টভাবে নতুন প্রধান কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করেছে।’
কিম বলেছেন, তিনি আবারও নিশ্চিত করতে এসেছেন যে ডিপিআরকে এর পারমাণবিক বাহিনী যেকোনো পারমাণবিক হুমকি রোধ করার জন্য আরেকটি নির্ভরযোগ্য এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্জন করেছে।কেসিএনএ বলেছে যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ উচ্চতা দিয়ে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এরপর পূর্ব সাগর বা জাপান সাগরে নির্ভুলভাবে পূর্বনির্ধারিত এলাকায় অবতরণ করেছে।
এটি এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী পরীক্ষা বলে মনে হচ্ছে। কেসিএনএ এর দাবির সঙ্গে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অনুমান অনেকটাই মিলে গেছে।