চালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, পল্লী রেশনিং চালু ও ষাটোর্ধ্বদের পেনশন চালুসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি।আজ সোমবার সংগঠনটি ওই সকল দাবি বাস্তবায়নে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, সহসাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার বাপ্পী, সহসভাপতি পরেশ কর, আব্দুল মান্নান, আশরাফুল আলমসহ আরো অনেকে।সমাবেশে নেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে।
ক্ষেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবীদের জন্য অবিলম্বে পল্লী রেশন চালু করে পাঁচ টাকা কেজি দরে চাল-আটা-লবণ, ১৫ টাকা দরে চিনি-কেরোসিন এবং ৩০ টাকা দরে ভোজ্য তেল ও মসুরের ডাল দিতে হবে। সরকারি বিভিন্ন গ্রামীণ কর্মসূচি ও প্রকল্পের বরাদ্দ লুটপাট বন্ধ করতে হবে।
তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগাম দুর্ভিক্ষের সতর্কতায় এখন থেকেই দেশের সকল উপজেলায় অস্থায়ী খাদ্যগুদাম তৈরি করে খাদ্য মজুদ করতে হবে। দুর্ভিক্ষের সময় রেশন কার্ডের মাধ্যমে গরিব মানুষের মাঝে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়াও সারা বছর কাজ ও বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দাবি করেছেন তারা।
দেশের জনগণের বৃহৎ অংশ এই ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুর উল্লেখ করে নেতারা বলেন, তারা মূলত ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ মানুষ। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কোনো সরকারই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির ফলে এসব সাধারণ মানুষ খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে।তারা বলেন, স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় এসব মানুষকে অনেক সময় বেকার দিন পার করতে হয়। অনেকে কাজের আশায় পরিবার-পরিজন ফেলে অন্যত্র চলে যায়। গ্রামে ক্ষেত বছরে মাত্র তিন মাসের বেশি কাজ থাকে না। ফলে তাদের বাকি সময় অনিশ্চিত জীবন অতিবাহিত করতে হয়। এ জন্য গ্রামে গ্রামে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতারা।
সমাবেশে নেতারা নারী-পুরুষের সমকাজে সমান মজুরি দাবি করেন। এ ছাড়া ক্ষেতমজুরদের কর্মক্ষম সন্তানদের জন্য রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর ও বড় বড় জেলায় ভোকেশনাল, আইটিসহ বিভিন্ন কাজে দক্ষ করে রাষ্ট্রীয় খরচে ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান।