এসঅ্যান্ডপি জানায়, একক মুদ্রা ইউরো অঞ্চলের প্রায় সব দেশেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে। ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। এতে ব্যাবসায়িক আস্থা কমছে। এসঅ্যান্ডপির প্রধান ব্যবসাবিষয়ক অর্থনীতিবিদ ক্রিস উইলিয়ামসন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘সর্বশেষ নভেম্বরেও ইউরোজোনে শিল্প কর্মকাণ্ড কমায় এ অঞ্চলের মন্দায় পড়ার আশঙ্কা আরো বাড়ল। চতুর্থ প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.২ শতাংশ সংকোচিত হতে পারে। ’ তবে তিনি মনে করেন সরবরাহব্যবস্থায় যে অচলাবস্থা তৈরি হয় তা আস্তে আস্তে শিথিল হচ্ছে।
ইউরোজোনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্রকাশিত পিএমআই সূচকে দেখা যায়, এ অঞ্চলে গত নভেম্বরে শিল্পকর্মকাণ্ড কমলেও তা কিছুটা ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। গত অক্টোবরে ইউরোজোনের পিএমআই ছিল ৪৭.৩ পয়েন্ট, নভেম্বরে তা সামান্য বেড়ে হয়েছে ৪৭.৮ পয়েন্ট। পিএমআই ৫০ পয়েন্টের নিচে থাকলে এটিকে সংকোচন ধরা হয়।ফলে টানা পঞ্চম মাস শিল্প কর্মকাণ্ড সংকোচনে রয়েছে এই অঞ্চল।
এদিকে গত মঙ্গলবার উন্নত দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এক প্রতিবেদনে জানায়, এ বছর বিশ্ব জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.১ শতাংশ হলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আগামী বছর কমে হবে ২.২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে প্রবৃদ্ধি গতি হারিয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যাচ্ছে এবং অনিশ্চয়তাও বাড়ছে। ওইসিডির প্রধান অর্থনীতিবিদ আলভারো সান্তোস পেরিয়ারা বলেন, ‘১৯৭০ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ জ্বালানি সংকটে টলমল করছে বিশ্ব অর্থনীতি। ’ তিনি আরো বলেন, ‘জ্বালানিসংকটে মূল্যস্ফীতি এমন পর্যায়ে গেছে, যা গত কয়েক দশকে দেখা যায়নি। যার আঘাত লেগেছে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে। ’