স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজের অধীনে বিশ্বকাপের জন্য বেশ ভালোভাবেই প্রস্তুত হচ্ছিল কাতার। ধারণা করা হচ্ছিল, দেশের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপে মাঠের খেলায় মুগ্ধ করবে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে স্বাগতিকদের পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই সাদামাটা। ২-০ গোলে হারের ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিটে একটিও টার্গেট শট নিতে পারেনি কাতার।
সেনেগালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ভীষণ বিব্রতকর এক রেকর্ড চোখ রাঙাচ্ছে স্বাগতিক কাতারকে। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে কখনোই কোনো স্বাগতিক দেশ শুরুর দুই ম্যাচ হারেনি। স্বাগতিকদের সামনে এই লজ্জার রেকর্ড এড়ানোর চালেঞ্জ। সেনেগাল ও কাতার দু’দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে তাই দু’দলের জয়ের বিকল্প নেই। কাতারের ‘আল-থুমামা’ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়।
আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে স্বাগতিকরা চাইবে সেনেগালের বিপক্ষে সমর্থকদের ভালো খেলা উপহার দিতে। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ সানচেজ বলেন, ‘আমার মনে হয়, প্রথম ম্যাচে আমাদের ওপর যে মানসিক চাপ ছিল, এখন আর সেটা নেই। গত ম্যাচে করা পারফরম্যান্সের চেয়ে যে আমরা ভালো দল, এটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে। সেনেগালের বিপক্ষে আমরা নতুনভাবে শুরু করতে চাই। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে দর্শকদের সেরা একটা ম্যাচ উপহার দিতে ছেলেরা মুখিয়ে আছে।’
অন্যদিকে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সমানে সমান লড়েও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় হারের মুখ দেখতে হয় আফ্রিকান নেশন্স কাপ চ্যাম্পিয়নদের। নেদারল্যান্ডস ম্যাচে সেনেগালের খেলার পুরোটা সময়ই সাদিও মানের অভাব ছিল স্পষ্ট। ডাচদের গোলপোস্টে ১৫টি শট করেও কোনো গোল না পাওয়া দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে কোচ আলিও সিসের। কাতারের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে তাই ফরোয়ার্ডদের কাছ থেকে দারুণ কিছু আশা করছেন সিসে। ‘গত ম্যাচে আমরা দু-তিনটি দারুণ সুযোগ মিস করেছিলাম। ফিনিশিংয়ে আমাদের আরও বেশি কার্যকর হতে হবে। সাদিওকে আমরা মিস করছি। তবে ইসমাইলা, ক্রেপিনসহ এখানে যারা আছে, প্রত্যেকেই দারুণ খেলোয়াড়। ওদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক।’
আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চে এর আগে কখনোই মুখোমুখি হয়নি এ দু’দল। তবে কাতারের চেয়ে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩২ ধাপ এগিয়ে থাকা সেনেগাল ফেভারিট হিসেবেই এই ম্যাচে মাঠে নামবে।