নীলফামারী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে রুমি কুমার দাস নামের এক পরিছন্নতাকর্মীকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তার কাছ থেকে ৫৯ হাজার ১৩৭ টাকা, ১৯টি ডেলিভারি স্লিপ, একটি পাসপোর্ট, একটি আবেদনপত্র ও একটি জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়।সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের উপ সহকারী পরিচালক এ কে এম নুর আলম সিদ্দিক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় নানা সোর্স ও অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকাল থেকে ছদ্মবেশে অফিস এবং অফিসের আশপাশে অবস্থান নেয় দুদকের একটি দল। এক পর্যায়ে অফিসের পরিছন্নতাকর্মী রুমি চন্দ্র দাসকে নগদ অর্থ পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট স্লিপ কপিসহ ধরতে সক্ষম হয় তারা। এছাড়া রুমি পরিছন্নতাকর্মী হলেও কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করছিলেন।
রুমি কুমার দাস দিনাজপুর মধ্য বালুবাড়ি এলাকার কার্তিক কুমার দাসের ছেলে। তিনি পাঁচ বছর ধরে ওই অফিসে (আউট সোর্সিং) পরিছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
তবে রুমির দাবি, তিনি রোববার অফিসের পাম্পের কাজের জন্য টাকা ব্যাংক থেকে তুলেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।পরিচ্ছন্নতা কর্মী হয়ে কেন কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অফিসে জনবল সংকট থাকায় আমাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভ্যারিফাইড কাজও আমি করি।’
এ বিষয়ে নীলফামারীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোতাহার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, দুদকের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রুমি দাসের কাছ থেকে কিছু টাকা ও কাগজপত্র জব্দ করে।
তিনি আরও বলেন, একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার দায় অফিস নেবে না। এটার জন্য তিনি নিজেই দায়ী থাকবেন। আর আমাদের জনবল সংকট থাকায় মাঝে মধ্যে তাকে দিয়ে কম্পিউটারে চিঠি লেখার কাজ করা হয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের উপ সহকারী পরিচালক এ কে এম নুর আলম সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ছদ্মবেশে দেড় থেকে দুঘণ্টা অবজার্ভ করি। এক পর্যায়ে আমরা রুমি চন্দ্র দাস নামের একজনকে আটক করি। তার মানিব্যাগ থেকে নগদ টাকা, ডেলিভারি স্লিপ, পাসপোর্ট জব্দ করি। আপাতত তাকে আটক করা হয়েছে। হেড অফিসের নির্দেশে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।