গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার শিশুকন্যা আয়াত নিখোঁজ হয়। এরপর ২৪ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল রানার ভাড়াটিয়া আবির আলীকে। প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশু আয়াতকে হত্যার পর তিনি ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
এ ঘটনায় আবিরের মা-বাবা ও ছোট বোনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তবে বোন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রামে খুন হওয়া শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতের দেহের খণ্ডিত অংশের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বুধবার আকমল আলী রোডের সাগরপারে স্লুইস গেট এলাকা থেকে আয়াতের দুটি কাটা পা উদ্ধার করা হয়েছে। মা-বাবা ও স্বজনরা উদ্ধার করা পা আয়াতের বলে শনাক্ত করেছে।সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্লুইস গেটের চারটি প্রকোষ্ঠের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে একটি প্রকোষ্ঠে পলিথিনে পা দুটি পাওয়া গেছে।
পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, গ্রেপ্তার আবির আলীর বর্ণনা অনুযায়ী পলিথিনের ভেতর স্কচ টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল পা দুটি।নাইমা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আয়াত নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে নেমে আমরা প্রথমে আবির আলীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। প্রাথমিকভাবে সে তথ্য দিয়েছিল, আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কেটে ছয় টুকরা করে সে। এর মধ্যে তিনটি টুকরা ফেলে দেয় সাগরে। আর এই স্লুইস গেট এলাকার নালায় ফেলে দুই টুকরা। আমরা আবিরকে নিয়ে দুই দফা এখানে এসেছিলাম। জোয়ার-ভাটার হিসাব করে ভাটার সময় তল্লাশি করেছি। সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা নিয়ে আমরা আজ আয়াতের দুটি পা উদ্ধার করেছি। পা দুটি আয়াতের বলে তার মা-বাবা শনাক্ত করেছেন। ’
এদিকে শিশু আয়াতের দেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তার বাবা সোহেল রানা, মা সাহিদা আক্তার তামান্না ও দাদা মনজুর হোসেনসহ স্বজনরা। সেখানে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে। পা দুটি দেখে আর্তনাদ করতে করতে আবিরের ফাঁসি দাবি করে তারা