দীর্ঘ নয় মাস ধরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি এই যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অঞ্চল হারিয়েছে ইউক্রেন। তবে রুশ সৈন্যকর্তৃক দখল হওয়া কিছু কিছু অঞ্চল পুনর্দখলও করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এখন দেশটির বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে ইউক্রেনের অর্ধেক অঞ্চল বিদ্যুতের চরমঅভাবে ভুগছে। সেখানে বর্তমানে শীতকাল বিরাজ করছে। এই সময়ে বিদ্যুৎ না থাকা মানে ইউক্রেনীয়দের চরম দুর্দশায় দিন কাটানো
যুক্তরাষ্ট্র সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাইডেন। সেখানে দুই নেতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেন।
যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক শর্তে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।তিনি বলেছেন, পুতিন সত্যিকার অর্থে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাইলে তার সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত আছি।বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাইডেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এখনও পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের কথা হয়নি।
ম্যাকরন বলেন, তিনি তার ওয়াশিংটন সফর শেষ করে পুতিনের সঙ্গে আবার কথা বলবেন। তিনি একই সঙ্গে রুশ নেতাকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ব্যাপারে সতর্ক করেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়ে এখনই তার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে যোগাযোগের সম্ভাবনা তিনি খোলা রেখেছেন।
বাইডেন বলেন,“আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রস্তুত, যদি বাস্তবিক অর্থে তার মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগ্রহ থাকে যে তিনি যুদ্ধ শেষ করার উপায় খুঁজছেন। তবে তিনি এখনও তা করেননি।”মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যদি তেমনটা হয়, তাহলে তিনি তার ফরাসি ও ন্যাটো বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। বাইডেন ও ম্যাকরন উভয়ই ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কারণ, দেশটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে।
বাইডেন বলেন, এই যুদ্ধ শেষ করার একটা উপায় আছে—যুক্তিসংগত উপায়। আর তা হলো, পুতিনকে প্রথমেই ইউক্রেন থেকে রুশ বাহিনীকে সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু তিনি তা করবেন বলে মনে হয় না। ইউক্রেনের হাসপাতাল, শিশু যত্নকেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে বোমা ফেলছে রাশিয়া। ইউক্রেনে পুতিন যা করছেন, তা অসুস্থতা।