শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন

রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ দামের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে জোট জি-৭

প্রতিনিধির / ৮২ বার
আপডেট : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ দামের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে জোট জি-৭
রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ দামের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে জোট জি-৭

গত সেপ্টেম্বরে জি-৭ জোটের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও ইউভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার তেল আমদানিতে নির্দিষ্ট মূল্য বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থায়নের উৎসে বাঁধা সৃষ্টির জন্যই রাশিয়ার তেলের দাম কমিয়ে নির্ধারণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে ২০২১ সালে রাশিয়ার অর্ধেকের বেশি তেল ইউরোপে যেত। জার্মানি ছিল সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ। এরপরই ছিল নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ড।

তেল রপ্তানির মাধ্যমে রাশিয়ার রাজস্ব আয়ের লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে দেশটির তেলের সর্বোচ্চ দামের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর জোট জি-৭ ও মিত্ররা। এসব দেশের পরিকল্পনা হচ্ছে, ব্যারেলপ্রতি ৬০ মার্কিন ডলারের বেশি দামে রাশিয়ার তেল কিনবে না তারা। এক যৌথ বিবৃতিতে জি-৭ ও অস্ট্রেলিয়া জানায়, আগামী ৫ ডিসেম্বর অথবা এর ‘পরপরই অতিসত্ত্বর’ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। সূত্র: বিবিস।পোল্যান্ড রাজি করানোর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। রাশিয়ার তেলের দাম ৬০ ডলারের বেশি কেউ দেবে না কেউ, এ সিদ্ধান্ত কার্যকরে ইইউ’র সব সদস্য দেশকেই আলাদাভাবে সম্মত হতে হবে। এরপরই তা বাস্তবায়নে যাবে ইইউ।

অন্যদিকে সমুদ্র পথে আমদানি করা রাশিয়ার তেলের ওপর ইইউ’র নিষেধাজ্ঞাও ৫ ডিসেম্বর কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ৬৫ থেকে ৭০ ডলার সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করতে চেয়েছিল ইইউ। কিন্তু পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়া এটি অনেক বেশি বলে আপত্তি জানায়।এর আগে বাজার দরের চেয়ে রাশিয়ার তেলের দাম ৫ শতাংশ কম মূল্য দেওয়া হবে, এ পর্যন্ত রাজি বলে জানিয়েছিল পোল্যান্ড। অবশেষে গতকাল শুক্রবার ৬০ ডলারের সিদ্ধান্তে রাজি হয়েছে পোল্যান্ড। গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ব্যারেলপ্রতি ৬৪ ডলারে বিক্রি হয়।আজ শনিবার জি-৭ ও অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনার করার লক্ষ্যে এ আয়োজন। পুতিনের যুদ্ধের ফলে বিশেষভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর ওপর।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ