কর্তৃত্ববাদী সরকারের সিংহাসন নড়ে উঠাতে ওরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, টাকাপাচার ও ভূমি দখলের মতো অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। কারণ অবৈধভাবে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় ওরা আগামী দিনের বিচারের হাত থেকে বাঁচতেই ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এমনিতেই বন্দি করে রাখা হয়েছে, তার পর একের পর এক বন্দিত্বের ঘেরাটোপে তাকে আরও কঠোরভাবে বন্দি করে রাখার পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রীর ওপর নির্যাতনের আরেকটি নতুনমাত্রা। এমনিতেই বন্দি করে রাখা হয়েছে, তার পর একের পর এক বন্দিত্বের ঘেরাটোপে তাকে আরও কঠোরভাবে বন্দি করে রাখার পাঁয়তারা চলছে।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, অনিবার্য পতন ঠেকাতে এ সরকার জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। কি যে করবে তার দিশা পাচ্ছে না। রক্তচোখের আগুনমাখা গণমানুষের বজ্রনিনাদে ভয়-আতঙ্কে থরথর করে কাঁপছেন অবৈধ সরকারের মন্ত্রী-নেতারা। মনে হয় তারা চোখে সরষে ফুল দেখছেন। সারা দেশে বিএনপির গণসমাবেশগুলোতে ঘর-দুয়ার ছেড়ে আসা ভয়হীন মানুষের অভাবনীয় প্লাবন অবলোকন করে নিপীড়ক শেখ হাসিনা এখন ভয়ঙ্করভাবে সন্ত্রস্ত।
তিনি বলেন, রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আমিনবাজারে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নুরুল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের নেতাদের তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরও তাদের কোনো খোঁজ দেয়নি। এক মারাত্মক হিংসাত্মক প্রতিশোধে নেমেছে আওয়ামী সরকার। ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের জনসমাবেশকে বানচাল করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্তর্ঘাতমূলক কাজে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক সর্বনাশা খেলা শুরু করেছে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেররা।