৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট সাদিপুর এলাকায় বিএনপি জামায়াতের ৭০-৮০ জন মশাল, লোহার রড, হকিস্টিক, রড, লাঠি, দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয় এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করে। এ সময় ৩-৪টি গাড়ি ভাংচুর করে তারা।ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়, চার টুকরা লাল কসটেপ মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, দুটি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত সাতটি পোড়া লাঠি, আট টুকরা ভাঙ্গা কাঁচ।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮০ জনকে আসামি করে নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে এ মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন সোনারগাঁও থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদের ভুঁইয়া।
মামলায় আসামিরা হলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁও পৌরসভা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব কমিশনার, সোনারগাঁও থানা যুবদলের আহবায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ ভুঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন সালু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব, সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া ভুঁইয়া, সোনারগাঁও পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি ফরহাদ সিকদার, সদস্য সচিব তানভীর, বিএনপি নেতা মামুন, আমিনুল ইসলাম, সফি মেম্বার, নূরে ইয়ামিন নোবেল, সোহেল, মোক্তার হোসেন, আবুল হোসেন, মনির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, মুছা মিয়া, আজিজুল্লাহ, শহিদ সরকার, সানোয়ার হোসেন, রউফ প্রধান, শরিফ, কবির, কামাল হোসেন, লাতিফ, নেহাল উদ্দিন, মোকলেছ, শাহালম, তাজুল ইসলাম সরকার, আব্দুর রউফ, জয়নাল, আওলাদ, ফারুক, জালাল সহ নাম পরিচয়হীন ৮০ জন।
এর আগে সোনারগাঁওয়ে ১৭ নভেম্বর বিকেলে মেঘনা শিল্পাঞ্চল শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম বাদি হয়ে বিএনপি নেতাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও তার ছোট ভাই পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলসহ প্রায় ১৫ জনকে।সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ জানান, একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।