রাজনৈতিক বিক্ষোভের মধ্যেই সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এ আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া সহিংসতা বন্ধে সব দলের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার একজন মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, চলতি ঘটনার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে। এছাড়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে পুলিশের গুলি ও হামলায় একজন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীতে একটি সমাবেশ করার জন্য পরিকল্পনা করে বিএনপি। যাতে প্রায় ১০ লাখ লোকের সমবেতও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমাবেশ শুরু হওয়ার এক মাস আগে থেকেই প্রায় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভয়ভীতি, হয়রানি বা সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকারের আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিরবি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সব দলকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছি। এছাড়া কোনো দলকে যেন হুমকি-ধামকি এবং নির্যাতন না করে সে ব্যাপারেও সতর্ক করে আসছি।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন বাংলাদেশ সরকারকে ‘সহিংসতার প্রতিবেদন সম্পূর্ণরূপে, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার জন্য’ আহ্বান জানিয়েছে।