দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন তাসকিন ও মোস্তাফিজ। দশম উইকেটে তারা দুজন ২৬ বলে ৩৩ রান তোলেন। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। দলীয় ১৮২ রানের মাথায় উমরান মালিকের বলে বোল্ড হয়ে যান মোস্তাফিজ। তাতে ২২৭ রানে হার মানে বাংলাদেশ। অবশ্য ঢাকায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।আজ ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। এছাড়া ইয়াসির আলী ২৫, মাহমুদউল্লাহ ২০, তাসকিন আহমেদ অপরাজিত ১৭ ও মোস্তাফিজ ১৩ রান করেন।বল হাতে ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল ও উমরান মালিক।
নবম উইকেট হারিয়ে হারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ:
দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শার্দুল ঠাকুরের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। তার ব্যাট থেকে অবশ্য কোনো রান আসেনি।
ফিরলেন ম্যাজিক্যাল মিরাজও:
আগের দুই ম্যাচের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য আজ সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় শার্দুল ঠাকুরের বলে এক্সট্রা কাভারে মোহাম্মদ সিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৫ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।
সপ্তম উইকেট হারালো বাংলাদেশ:
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিদায়ের দুইরানের মাথায় ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। শার্দুল ঠাকুরের বলে উমরান মালিকের হাতে ক্যাচ দেয় আউট হন তিনি। ১২ বলে ১ চারে ৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
ষষ্ঠ উইকেটের পতন:
দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ সময় ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে এলবিডব্লিউ হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করে যান তিনি।
আশা জাগিয়ে ফিরলেন সাকিবও:
চতুর্থ উইকেট হারানোর পরও সাকিব আল হাসানে ভরসা পাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ১২৪ রানের মাথায় কুলদ্বীপের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। মাত্র ৭ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন এই অলরাউন্ডার। ৫০ বলে ৪টি চারে ৪৩ রান করেন তিনি।
চতুর্থ উইকেট হারালো বাংলাদেশ:
চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের ইনিংসকে টানছিলেন সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলী রাব্বী। এই জুটি ৩৪ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু দলীয় ১০৭ রানের মাথায় উমরান মালিকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন ইয়াসির। তিনি ৩০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করে যান।
মুশফিকের বিদায়ের পর টানছেন সাকিব-ইয়াসির:
দলীয় ৭৩ রানের মাথায় আউট হন মুশফিকুর রহিম। এরপর সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলী রাব্বী বাংলাদেশের ইনিংসকে টেনে নিচ্ছেন। মুশফিক ব্যক্তিগত ৭ রানে অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হন। সাকিব ৩২ ও ইয়াসির ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান তুললো বাংলাদেশ:
১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয় ব্যক্তিগত ৮ রানে ও অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ব্যক্তিগত ২৯ রানে আউট হয়েছেন। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম দলীয় সংগ্রহকে টেনে নিচ্ছেন।
ফিরলেন লিটনও:
পাহাড় সমান রান তাড়া করতে নেমে অষ্টম ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সিরাজের করা অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলটি সুবিধামতো খেলতে পারেননি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। এক্সট্রা কাভারে খেলার চেষ্টা করলেও বল চলে যায় মিড অফে। সেখানে সেটি তালুবন্দি করেন শার্দুল ঠাকুর। ২৬ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করে ফেরেন তিনি।
ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে ফিরলেন এনামুল:
৪১০ রান তাড়া করতে নেমে ৪ ওভারেই ৩৩ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ ওভারেই উইকেটের পতন ঘটে। অক্ষর প্যাটেলের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ সিরাজের হাতে ধরা পড়েন এনামুল হক বিজয়। তিনি ৭ বল খেলে ১ ছক্কায় ৮ রান করে যান।
প্রথম আন্তর্জাতিক দল হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে চারশ রান করলো ভারত। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ভারতের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তরুণ ক্রিকেটার ইশান কিশান। সেঞ্চুরি পেয়েছেন বিরাট কোহলি। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবেই মূলত পুড়েছে বাংলাদেশ। দুজন ২৯০ রানের জুটি গড়েন যা বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে কিম্বারলিতে ২০১৭ সালে হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক ২৮২ রান করেছিলেন। তাদের জুটি অবশ্য অপরাজিত ছিল।
ইশান নিজের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবলে রূপ দিয়েছেন। ১৩১ বলে ২৪ চার ও ১০ ছক্কায় ২১০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ওপেনার। রোহিত শর্মার চোটে তাকে সুযোগ দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সুযোগ কিভাবে কাজে লাগাতে হয় তা ভালোভাবে করে দেখিয়েছেন ইশান।
সেঞ্চুরি পাওয়া বিরাট কোহলি ১ রানে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৯১ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১১৩ রান করেন। ২০১৯ সালের পর বিরাট কোহলি প্রথম ওয়ানডে ফরম্যাটে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন। যা তার ক্যারিয়ারের ৪৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ জিতলে প্রথমবার ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পাবে।