মাদারীপুরে জমির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনওহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ৪ জনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনওহাটা এলাকার হাবিব ফকিরের ছেলে রবিউল ফকির (৩৭) আবদুল লতিফ ফকিরের ছেলে হোসেন ফকির (৩৫), শাহজাহান শিকদারের ছেলে সাইফুল শিকদার (৩৮), করিম শিকদারের ছেলে বাদল (৪০)। তবে বাদল ও সাইফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে জমির সীমানা বেশি কাটা নিয়ে বাদল শিকদারের সঙ্গে রবিউল ফকিরের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় স্থানীয়রা দু’পক্ষকে বসিয়ে সালিশ মীমাংসা করে দেয়। এ ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার সকালে জমিতে কাজ করতে যায় রবিউল ফকির। জমিতে বীজ রোপণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ফের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল চিকিৎসক জায়িন আরেফিন বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাদের সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ভর্তি হওয়া ৪ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।’সংঘর্ষে আহত রবিউল ফকির বলেন, ‘বাদল শিকদারের লোকজন আমার জমির সীমানা থেকেও বাড়তি জমি কেটে নেয়। পরে বীজ রোপণ শুরু করে। প্রতিবাদ করলে বাদল আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয় বাদল শিকদার বলেন, ‘আমি আমার জমির সীমানা কেটেছি। বীজও রোপণ করি। জমি আমার তাই আমার ইচ্ছে মতো কাজ করবো। কিন্তু রবিউল অন্যায়ভাবে আমাকে বাধা দেয়। হামলা সংঘর্ষের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জমির সীমানা নির্ধারণ ও বীজ রোপণ নিয়ে শিকদার ও ফকির বংশের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল থেকে আমরা ৪ জনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’