ফলোঅনের শঙ্কা মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ। ৪৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। এখনো ভারতের থেকে ২৭১ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা। মিরাজ ১৬ ও ইবাদত ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।প্রথম ইনিংসে ভারতের দেয়া ৪০৪ রানের জবাবে প্রথম বলেই ভাঙন ধরে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। কোনো রান যোগ না করতেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে ওয়ানডাউনে নামা ইয়াসির আলী রাব্বিও দ্রুত ফেরেন। ৫ রানেই ২ উইকেট হারায় টাইগাররা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে জাকির হাসানকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন লিটন দাস। তবে অভিষিক্ত জাকির এ দিন ইনিংসটা বড় করতে পারেননি, ফিরেন ২০ রান করে। ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন দাসও। বরাবরের মতো ভালো শুরুর পরও ব্যর্থ তিনি। তার ব্যাটে আসে ২৪ রান। শান্ত, জাকির, লিটন তিনজনই ফিরেছেন সিরাজের শিকার হয়ে। ইয়াসির আলীকে ফেরান উমেশ যাদব।বল হাতে উইকেট শূন্য থাকার পর ব্যাট হাতেও ব্যর্থ সাকিব আল হাসান। ২৫ বলে মাত্র ৩ রান করে কুলদীপ যাদবের শিকার সাকিব। ৭৫ রানেই ৫ উইকেট হারানোর পর মুশফিক-সোহানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ১৬ রান করে সোহান ও ২৮ রান করে মুশফিকও বিদায় নেন কুলদীপের শিকার হয়ে।
কুলদীপের চতুর্থ শিকার তাইজুল ইসলাম। কোনো রান যোগ না করেই তাইজুল ফিরেন ০ রানে। ফলে ১০২ রানেই ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেই সাথে ঝেঁকে বসে ফলোঅনের শঙ্কা। তবে আজকের বেঁচে গেছে বাংলাদেশ। মিরাজ-ইবাদতের ইনিংস সর্বোচ্চ ৩১ রানের জুটিতে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই দিনশেষ করেছে বাংলাদেশ।
এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেয় ভারত৷ প্রথম দিনে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান করার পর দ্বিতীয় দিন ৪ উইকেটে আরো ১২৬ রান যোগ করে ভারত। ফলে শেষ পর্যন্ত ৪০৪ রানে থামে ভারতের ইনিংস। ৯০ রান করেন চেতেশ্বর পুজারা ও ৮৬ রান করেন শ্রেয়াস আইয়ার। ৪টি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী মিরাজ। কোনো উইকেট পাননি সাকিব আল হাসান।