৪৭ বছর বয়সী হলিউড অভিনেত্রী জোলি জেনেভা ভিত্তিক ইউএনএইচসিআর এর বিশেষ দূত হিসেবে তার মেয়াদকালে ৬০টিরও বেশি ‘ফিল্ড মিশন’ পরিচালনা করেছেন। এসব মিশনের মাধ্যমে তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সামনে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন।
হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) তিনি এ ঘোষণা দেন। লস এঞ্জেলেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জোলি তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ২০ বছর জাতিসংঘের সংস্থার সঙ্গে কাজ করার পর, তিনি অনুভব করেছিলেন যে তার ভিন্নভাবে কাজ করার সময় এসেছে। তাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করার জন্য শরণার্থী ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সময় এসেছে।জোলি আরও বলেন, ‘আমি আগামী বছরগুলোতে শরণার্থী ও অন্যান্য বাস্তুচ্যুত লোকদের সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাব।’ ইউএনএইচসিআর শরণার্থী অধিকারের লড়াইয়ে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন হিসেবে জোলিকে নাম দিয়েছে।
অস্কার বিজয়ী আমেরিকান তারকা ২০০১ সাল থেকে ইউএনএইচসিআর এর সঙ্গে কাজ করছেন। ২০১২ সালে তিনি সংস্থার বিশেষ দূত হন।ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, জোলি শরণার্থী সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন। শরণার্থীদের কল্যাণে সহায়তা প্রদান করেছেন। জোলি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি শরণার্থীদের দুর্দশার কথা শুনেছেন। তাদের আশার কথা শুনেছেন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার ইচ্ছার কথা শুনেছেন।
জোলি সম্প্রতি ইউএনএইচসিআর এর বিশেষ দূত হিসেবে ইয়েমেন ও বুরকিনা ফাসো সফর করেছেন। সেখানে তিনি বাস্তুচ্যুত মানুষের সঙ্গে দেখা করেন।ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য জোলির অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ইউএনএইচসিআর প্রধান আশা প্রকাশ করেন, তিনি ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত ভিত্তিতে শরণার্থীদের জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন।