২০০৬ সালে জার্মানি আসরে সার্বিয়া অ্যান্ড মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ৭৬তম মিনিটে বদলি নেমে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় মেসির। মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যে এরনান ক্রেসপোর গোলে অবদান রাখেন তিনি। ১০ মিনিট পর নিজে করেন দলের ষষ্ঠ গোলটি। ম্যাচটি ৬-০ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা, যা বিশ্বকাপে যৌথভাবে তাদের সবচেয়ে বড় জয়।
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর পরিসংখ্যান, রেকর্ড, সেরা মুহূর্ত তুলে ধরে সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
দিয়েগো ম্যারাডোনা এবং মেসি-দুজনেরই আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক হয় হাঙ্গেরির বিপক্ষে। ১৯৭৭ সালের প্রীতি ম্যাচে খেলেন ১৬ বছর বয়সী ম্যারাডোনা। ২০০৫ সালে প্রীতি ম্যাচেই ১৮ বছর বয়সে মেসি বদলি নেমেছিলেন ৬৩তম মিনিটে।২০০৬ সালের মার্চে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোলটি করেন মেসি।বিশ্বকাপে মেসির চেয়ে (১৮ বছর ৩৫৮ দিন) কম বয়সে গোল করতে পেরেছেন কেবল পাঁচ জন। ১৯৫৮ আসরে ১৭ বছর ২৩৯ দিন বয়সে গোল করে রেকর্ডটি পেলের।
আর্জেন্টিনার হয়ে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জেতেন মেসি। তবে সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জিততে তাকে অপেক্ষা করতে হয় ১৬ বছর। চার ফাইনালে (২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০০৭, ২০১৫, ২০১৬ কোপা আমেরিকা) হারের পর ২০২১ সালের জুলাইয়ে ব্রাজিলকে তাদের মাটিতে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের মধ্য দিয়ে প্রতীক্ষার অবসান হয় তার। ঘুচে যায় তার দেশের ২৮ বছরে শিরোপা খরা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড ৫৯ বছর ধরে ছিল পেলের। ২০২১ সালে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যান মেসি।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি গোল
লিওনেল মেসি- ১৮ গোল, ১৪ ম্যাচ, ২০২২
লিওনেল মেসি- ১২ গোল, ৯ ম্যাচ, ২০১২
গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা- ১২ গোল, ১২ ম্যাচ, ১৯৯৮
আন্তোনিও আনহেলিশো- ১০ গোল, ৯ ম্যাচ, ১৯৫৭
সের্হিও আগুয়েরো- ১০ গোল, ১০ ম্যাচ, ২০১৫