গত ২ বছরে করোনার জেরে বিভিন্নভাবে বিপাকে পড়েছে মানুষ। এরপর ২০২২ সালে চীন বহুদিন ধরে করোনার থাবায় বিপর্যস্ত। সেখানে কড়া লকডাউনের মাঝে নাগরিকদের প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তারপরই লকডাউন শিথিল হয়। দেখা যায় হু হু করে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। মূলত, ওমিক্রনের বিএফ সেভেন এই ভয়াবহ সংক্রমণকারী ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে চীনে উঠে এসেছে। আর সেই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে ভারতে।
চীনে কোভিডের নয়া স্রোতের মাঝে ভয়াবহ হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট। তারই মাঝে ওমিক্রনের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফ ৭-এর সন্ধান মিলেছে ভারতে। উল্লেখ্য, চীনে হু হু করে কোভিড ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ এই ওমিক্রনের বিএফ ৭ সাবভ্যারিয়েন্ট। আর তার সন্ধান ভারতে আসতেই ফের একবার আতঙ্কের চোরাস্রোত বয়ে যেতে শুরু করল।
জানা গেছে, এই ভ্যারিয়েন্টের দুটি কেস গুজরাটে পাওয়া গেছে। আর তা অক্টোবর মাসে পাওয়া যায়। গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে এই কেসের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর অন্য কেসটি ওড়িশার সন্ধান মিলেছে। মূলত, অক্টোবর ছিল ভারতের অন্যতম উৎসবের মরশুম। তারপর ডিসেম্বরের শেষে রয়েছে বড়দিন নববর্ষের মতো উৎসবের মরশুম। তার আগে কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলার খবরটি মোটেও স্বস্তিতে রাখছে না ভারতকে।
এদিকে, ভারতকে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আস্বস্ত করে দেশটিস্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেছেন, দেশে সেভাবে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে না। তবে নজরদারি ক্রমাগত চালানো হচ্ছে, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের দিকে সেই নজরদারি রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, চীনে একের পর এক শহরে নতুন করে ত্রাসের সঞ্চার করেছে ওমিক্রনের নয়া সাবভ্যারিয়েন্ট। এই সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফসেভেনকে ঘিরে ক্রমাগত চীনে করোনা ত্রাস নতুন করে দেখা দিয়েছে। মূলত, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে যে করোনা পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তার মূলে রয়েছে ওনিক্রনের বিএফ সেভেন সাবভ্যারিয়েন্ট।