রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী সাবেক এমপি হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াসহ সাত মেয়রপ্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার চেয়ে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৯ ভোট বেশি পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাত সোয়া ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন ফলাফল ঘোষণা করেন। নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন ভোটারের মধ্যে ইভিএমে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এ হিসাব অনুসারে জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ৩৫ হাজার ১২২ ভোট। নৌকার প্রার্থী ডালিয়া পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রদানকৃত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় তারা জামানত হারিয়েছেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, লাঙ্গল ও হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট। বড় ব্যবধানে পরাজিত চতুর্থ অবস্থানে থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী আবু রায়হান ডাব প্রতীকে ১০ হাজার ৫৪৯ ভোট, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন গোলাপ ফুল প্রতীকে ৫ হাজার ৮০৯, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ১৫৬ ভোট।

এছাড়া খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু দেওয়ালঘড়ি প্রতীকে ২ হাজার ৮৬৪ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি হরিণ প্রতীকে ২ হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ লাঙ্গল ও হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া সবাই জামানত হারিয়েছেন।নির্বাচনে বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৬ এবং বাতিল ভোট এক হাজার ৩৬টি। মোট ভোট পড়েছে দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৭২টি, যা মোট ভোটের ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।