মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

এবার ভারতের তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যর অভিযোগ

প্রতিনিধির / ১১৪ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
এবার ভারতের তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যর অভিযোগ
এবার ভারতের তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যর অভিযোগ

ভারতের তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।এবার ভারতের তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যর অভিযোগ উঠল

এরপর ভারতে তৈরি চারটি সর্দি-কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য দফতর বুধবার জানিয়েছে, ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের’ তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে এখন পর্যন্ত ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডক-১ ম্যাক্স নামের সিরাপটি ২১ জন শিশু গ্রহণ করেছিল, এর মধ্যে ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওষুধটি প্রস্তুতকারক কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, এটি সর্দি ও ফ্লু’র উপসর্গের চিকিৎসা হিসেবে বাজারজাত করা হয়।সিরাপটির একটি ব্যাচে ইথিলিন গ্লাইকোলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এটি এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বলে জানিয়েছে উজবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুরাম্যাক্স মেডিকেল এলএলসি নামে একটি সংস্থা সিরাপটি উজবেকিস্তানে আমদানি করে।উজবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সিরাপটি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাড়িতে বাবা-মা কিংবা ফার্মাসিস্টের পরামর্শে শিশুদের দেওয়া হয়েছিল এবং শিশুদের জন্য আদর্শ ডোজের মাত্রার অতিরিক্ত প্রয়োগ করা হয়েছিল।

জানা গেছে, ২০১২ সালে উজবেকিস্তানে নাম নথিভুক্ত করেছিল ম্যারিয়ন বায়োটেক। তাদের সরবরাহ করা সর্দি-কাশির সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উজবেকিস্তান সরকার।প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে- ওই কাশির সিরাপে প্যারাসিটামলের মাত্রায় গরমিলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।এর আগে গাম্বিয়ায় সর্দি-কাশির সিরাপে অস্বাভাবিক মাত্রায় ডাইথিলিন গ্রাইকল এবং এথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতির কারণে কিডনি বিকল হয়ে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়।

গত অক্টোবরে গাম্বিয়ার ওই ঘটনায় অভিযোগ ছিল, ভারতীয় সংস্থা মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি চার ধরনের কাশির সিরাপের দিকে। সিরাপগুলো হলো- প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ।

এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস সংবাদ সম্মেলনে ওই সংস্থার তৈরি সর্দি-কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন।

ভারতের হরিয়ানা-ভিত্তিক ‘মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের’ তৈরি ওই সিরাপগুলো সেবনের ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের কিডনিতে ক্ষত হওয়া অথবা কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Categories