শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন

নিউইয়র্ক স্টেট মানবদেহ কম্পোস্ট করার প্রক্রিয়া অনুমোদন করেছে

প্রতিনিধির / ৭৩ বার
আপডেট : সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩
নিউইয়র্ক স্টেট মানবদেহ কম্পোস্ট করার প্রক্রিয়া অনুমোদন করেছে
নিউইয়র্ক স্টেট মানবদেহ কম্পোস্ট করার প্রক্রিয়া অনুমোদন করেছে

নিউইয়র্ক স্টেট মানবদেহ কম্পোস্ট করার প্রক্রিয়া অনুমোদন করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রক্রিয়ায় মানুষের মৃতদেহ মাটিতে রূপান্তরিত হতে পারে। এটি পরিবেশ বান্ধব বলে মনে করা হচ্ছে। এটি একটি সহজ উপায়ে প্রাকৃতিক জৈবিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পদ্ধতিতে কয়েক সপ্তাহ আটকে রাখার পর মৃতদেহ পচানোর জন্য দেখানো হয়েছে।

২০১৯ সালে ওয়াশিংটনই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এই পদ্ধতিটি অনুমোদন করে। পদ্ধতিটি পরে কলোরাডো, ওরেগন, ভার্মন্ট ও ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে অনুমোদিত হয়েছিল।গত শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজ্যের ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর ক্যাথি হোচুল এটি অনুমোদন করার পর নিউইয়র্কে পদ্ধতিটি অনুমোদনের জন্য ষষ্ঠ রাজ্য হয়ে উঠেছে। মাটিতে বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে জৈব সার তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

জৈব সার তৈরির জন্য মৃতদেহ ঘেরা জায়গায় রাখা হয়। কাঠের গুঁড়া, বিশেষ ধরনের পাতা ও খড় ঘাসের মতো কিছু উপকরণ সেখানে রাখা হয়। ধীরে ধীরে পচন ধরে। প্রায় এক মাস এভাবে রাখা হয়। জীবাণুমুক্ত করার জন্য তাপ প্রয়োগ করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই, মৃতদেহ জৈব সারে পরিণত হয়।এটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফুল, সবজি চাষ বা বৃক্ষ রোপণে ব্যবহার করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রিকম্পোজ জানিয়েছে, এটি এক টন কার্বন সংরক্ষণ করতে পারে।

কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন জলবায়ু পরিবর্তনে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা গ্রিনহাউস গ্যাস প্রভাব নামে পরিচিত।মানব কম্পোস্টিং এর সমর্থকরা এই প্রক্রিয়াটিকে বেশ পরিবেশবান্ধব বলে মনে করেন। এতে করে সীমিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে জানান তারা।

যাইহোক, এই পদ্ধতি সবাই গ্রহণ করেনি। নিউইয়র্কের ক্যাথলিক বিশপ জানিয়েছেন, মানবদেহকে গৃহস্থালির বর্জ্য হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। জৈব সারে রূপান্তরের খরচ নিয়েও সমালোচনা রয়েছে। সুইডেনে মানব জৈব সার বৈধ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ