ফুটবলের ‘রাজা’ পেলে। যিনি হাতে করে ব্রাজিলে তিন বার নিয়ে গিয়েছেন বিশ্বসেরার ট্রফি। ব্রাজিলের সান্তোস ক্লাবের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে পেলের রূপকথার অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল। তার শেষ বিদায়ও অনুষ্ঠিত হলো এই মাঠেই।
গত সোমবার পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য রাখা হয় ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। এসময় ফুটবল কিংবদন্তি পেলেকে চোখের পানিতে শেষ শ্রদ্ধা জানায় ভক্ত-সমর্থকরা। হাজারো মানুষের সঙ্গে পেলের এ শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো, ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের কর্মকর্তাসহ বিশ্বের আরো অনেক ফুটবল অনুরাগী। সোমবার পুরো দিন জুড়েই শেষবারের মতো তারা প্রিয় পেলেকে দেখতে সান্তোসের ক্লাবটিতে জড়ো হয়েছিলেন।মাঠের মাঝখানে শেষবারের মতো তাদের রাজাকে দেখতে রাত পর্যন্ত মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে। এসময় পেলের কফিন সান্তোস ও ব্রাজিলের পতাকা দিয়ে আবৃত ছিল। সঙ্গে ছিল সাদা ফুল। এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ব্রাজিলের নতুন রাষ্ট্রপতি লুজি ইনাসিও লুলা ডা সিলভা ও তার স্ত্রীও পেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শেষকৃত্যে যোগ দিতে আসা পেলের ভক্তদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫৯ বছর বয়সি কার্লোস মোতা। রিও ডি জেনিরো থেকে ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি পাড়ি দিয়ে সে পেলেকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এসময় তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলের জন্য পেলে যা করেছে তা ছোটবেলা থেকেই আমাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। সে আমাদের জাতীয় নায়ক। আমি সবসময়ই আমার ছেলেকে একটি কথাই বলি, আমার কাছে তিনটি অবিসংবাদিত তথ্য আছে—বলের আকার গোল, ঘাসের রঙ সবুজ এবং পেলে সর্বকালের সেরা ফুটবলার।’এর আগে পেলের মাত্র ১৫ বছর বয়সে সান্তোসের হয়ে পেশাদার ফুটবলের অভিষেক হয়েছিল। এরপর ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে ব্রাজিলের হয়ে তিনি তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেছে যা এখন পর্যন্ত কেউ অর্জন করতে পারেনি। পেলের মৃত্যুর পর থেকে পুরো বিশ্ব তাকে শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করে।