জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার (৪ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার। আজও (বৃহস্পতিবার) একই অবস্থা বিরাজ করছে।এদিকে অনেক স্থানে লোকজন আগুন জেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। কনকনে বাতাসে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচলও অনেক কম। বাজারঘাটসহ দৈনন্দিন কাজে নেমেছে স্থবিরতা।
উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে জেঁকে বসেছে শীত। গত দু’দিন সূর্যের দেখ মেলেনি। কনকনে শীতে ফুটপাতে বেড়েছে গরম কাপড়ের বিক্রি। তবে দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
জেলা জজ কোর্টের সামনে রাস্তায় খোলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতে নিম্ন আয়ের লোকজন কমদামে শীতের পোশাক খুঁজছেন। কিন্তু হঠাৎ কনকনে শীতে চাহিদা বাড়ায় গরম কাপড়ে দামও বেশি হাঁকছেন দোকানীরা।রিকশাচালক মো. আবদুল গনি জাগো নিউজকে বলেন, এতোদিন ঠান্ডা সহ্য করার মতো ছিল। কিন্তু গতকাল (বুধবার) থেকে অসহ্য ঠান্ডা পড়ছে। গাড়িও চালাতে পারছি না। ঘরে খাওন নাই, শীতের কাপড় কিনবো কী দিয়া।দোকানী শাহ আলম বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারি মালের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমরাও কিছুটা বাড়তি দামে শীতের কাপড় বিক্রি করছি।
কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের আগুন দাম
গৃহিণী তাসলিমা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, বাচ্চাদের শীতের কাপড় কিনতে আসলাম। কিন্তু যেটি পছন্দ হয় সেটির দাম চাচ্ছে বেশি। তবুও কিনতে তো হবে। তবে যেখানে দুটি কিনতাম এখন সেখানে একটি কিনে নিয়ে যাবো।জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ায় সোমবার (২ জানুয়ারি) মধ্যরাতে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় খুঁজে খুঁজে ২০০ অসহায় শীতার্তকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে