পশ্চিমাকাশে সূর্য হেলে পড়ার পর নেমে আসে রাতের আঁধার। আর তখনই নিয়ন আলোয় রূপ বদলায় রাতের সাজেক। রং-বেরঙের আলোয় নিজেদের ফ্রেম বন্দি করে নেন পর্যটকরা। দোকানগুলোতে বারবিকিউ চুলায় ঝলসানো হয় মুরগি, কোথাও বাঁশের চোঙায় রান্না করা হয় ব্যাম্বো চিকেন, ফিশ ও বিরিয়ানি। গিটার বাজিয়ে পাহাড়ি সুরে গানের মাধ্যমে এই অনাবিল মুহূর্ত মাতিয়ে রাখেন স্থানীয় শিল্পীরা। ঘোরাঘুরি ও খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে সেই গান উপভোগ করেন পর্যটকরা।
মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালির মোহনীয় রূপ রাতে ধরা দেয় ভিন্ন এক মাত্রায়। ব্যস্ততা বাড়ে স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলোতে। ভিন্ন স্বাদের সব খাবারের স্বাদ নেন ভ্রমণপিপাসুরা। খাবার আর রাতের সাজেকে মুগ্ধ পর্যটকরা। বেচাবিক্রি ভালো হওয়ায় খুশি দোকানিরা।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হেলিপ্যাডের পাদদেশের স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলোতে ভিড় জমান ভোজনরসিকরা। খান তারা তৈরি বাঁশের চা, বিনি চালের জিলাপি, ফিশ ফ্রাইসহ বাহারি পদের মুখরোচক খাবার। এসব খাবার আর রাতের সাজেকে মুগ্ধ পর্যটকরা। বেচাবিক্রি ভালো হওয়ায় খুশি দোকানদাররা।যশোর থেকে ঘুরতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দিনের সাজেকের থেকে রাতের সাজেক আরও অনেক বেশি সুন্দর, বাহারি আলোয় সাজে রাতের সাজেক। মিটিমিটি আলো দূর থেকে দেখতে অসাধারণ লাগে।’
রকিবুল ইসলাম নামে আরেক পর্যটক বলেন, ‘সাজেকে এসে স্ট্রিট ফুডের দোকান পাব, এটা কল্পনাও করিনি। অথচ এখানে বেশ কয়েকটি দোকান আছে, যাতে পাহাড়ি খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ফিশ ফ্রাই, চটপটি, মমসহ অনেক কিছুই বিক্রি হচ্ছে। আমার কাছে সবচেয়ে নতুন ছিল বাঁশে চা পান করা। এসব খাবারের টানে বারবার সাজেক আসব।’স্ট্রিটফুড দোকানি সিজার মিয়া বলেন, ‘সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন রকম তেলেভাজা খাবার বিক্রি করি। প্রচুর লোক এগুলো খাচ্ছে। ফলে আমাদের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে।’
এদিকে দুর্গম এলাকা সাজেকে এমন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি চাই থোয়াই অং চৌধুরী।সমিতির তথ্যমতে, সাজেকে ২০টি স্ট্রিট ফুড ও ৪০টি হোটেলে কর্মসংস্থান হয়েছে ৯০০ স্থানীয়র।