ডলার সংকটের কারণে ভোজ্য তেল, আটা, ময়দা ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির জন্য চাহিদা অনুযায়ী এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব পণ্যের আমদানি ব্যাপক কমেছে। এদিকে চলমান ডলার সংকট পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্য ভোজ্য তেল, গম, চিনি, সার ও পশুখাদ্য আমদানিতে দেশের বেসরকারি খাতকে ঋণ নিশ্চয়তা দিতে চায় বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সংস্থা মাল্টিলেটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি (মিগা) বাংলাদেশকে এই প্রস্তাব দিয়েছে।
মিগা গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিশ্চয়তার প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।মিগার খাদ্য নিরাপত্তা আমদানি সহায়তা কর্মসূচি (এফএসআইএফপি) থেকে দেওয়া সহায়তার পরিমাণ হতে পারে ৫০ থেকে ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত। আর ঋণ নিশ্চয়তার অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাধীন একটি তহবিলের মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে সংস্থাটি। তবে সুদের হার বেশি হওয়ায় এবং সহায়তার সময়টা স্বল্পমেয়াদি হওয়ায় সরকার বিষয়টি নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোবে বলে জানা গেছে।
ভোজ্য তেল আমদানিকারক টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম বলেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকেই এটা হওয়ার ব্যাপারে কাজ করছিলাম। সম্প্রতি একটা বৈঠক করেছি। মিগা থেকে প্রস্তাব এসেছে বলে শুনেছি। এটা হলে খুব ভালো হবে।’ তবে সুদহার ও বিভিন্ন শর্ত নিয়ে মিগার সঙ্গে দর-কষাকষি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মিগার প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখা যায়। এটি গ্রহণ করলে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যেমন ভালো হবে, আবার ডলার সংকটের চাপও কমবে।’