স্বদেশে গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন নিরাপদে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন, সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে জনমত গঠনে স্পেশাল রেপোর্ট্যার মোরালেসের সহায়তা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত।রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে বিধৃত নীতিসমূহ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অবিচল বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী নিপীড়িত মানবতার পক্ষে সর্বদাই সোচ্চার। কেননা, ১৯৭১ সালে এদেশের জনগণ নিজেরাই ভয়াবহ গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে।
আর্থসামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অনন্যসাধারণ সাফল্য ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের অগ্রগতির বিষয়েও রাষ্ট্রদূত স্পেশাল রেপোর্ট্যার মোরালেসকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রয়াসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (UN OHCRH) সমর্থন প্রত্যাশা করেন।জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক মোরালেস জানান, ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা ১৯৭১ সালে নিউ ইয়র্কের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর রেকর্ডিং বাংলাদেশের জন্য তার আবেগের এক মূল্যবান স্মারক। দূতাবাসে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শনকালে মোরালেস ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতার বর্বর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান।