বর্তমানে ডায়াবেটিস অতি সুপরিচিত একটি রোগ। এটি একটি দীর্ঘ স্থায়ী রোগ। বর্তমানে বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৪ কোটিরও বেশি। বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি।শরীরে যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখন তাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। ডায়াবেটিসকে সকল রোগের মা বলা হয়ে থাকে। কেননা, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া হার্টের রোগ, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, চর্মরোগ এবং পায়ের আলসার বা পায়ের বিভিন্ন রোগ হতে পারে।ডায়াবেটিস এর ব্যাপকতা ও জটিলতার বিষয় মাথায় রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রথমেই ডায়েটে পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়। পরিমিত খাবার ও নিয়ন্ত্রিত পথ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় যা যা রাখতে হবে-
পরিমিত পরিমাণ বা যা খাওয়া বাদ দিতে হবে
>> সাদা চাল,আটা, নুডুলস, পাস্তা ইত্যাদি পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
>> ঘি, মাখন, ডালডা খাওয়া যাবে না।
>> চর্বিযুক্ত মাংস না খাওয়াই ভালো।
>> চিনি, মিষ্টি, মধু, খেঁজুর, কোমল পানীয় খাওয়া যাবে না।
>> চা, কফি, অ্যালকোহল পান করা যাবে না।
ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাবারও সময়মতো খেতে হবে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ বার খাবেন।পরিমিত পরিমাণে খাবার সকালের নাস্তা থেকে রাতের শোবার আগে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা অন্তর খাবেন। ডায়াবেটিস দূর করা না গেলেও একে নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব নয়।