বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) প্রায় তিন-চতুর্থাংশ (৭৩%) মনে করেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে পারে। ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কর, নিরীক্ষা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারসের (পিডাব্লিউসি) ২৬তম বার্ষিক সিইও সমীক্ষায় ১০৫টি দেশের চার হাজার ৪১০ জন সিইও তাঁদের মতামত দেন।
সমীক্ষা অনুসারে, ১২ বছর আগে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে সবচেয়ে হতাশ ছিলেন সিইওরা। তবে ২০২১-২২ সালে প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদী হন তাঁরা। সে সময় প্রায় তিন-চতুর্থাংশের বেশি (যথাক্রমে ৭৬% ও ৭৭%) সিইও মনে করেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে।একটি চ্যালেঞ্জিং পরিবেশের পাশাপাশি প্রায় ৪০ শতাংশ সিইও মনে করেন, বর্তমান অবস্থায় চলতে থাকলে তাঁদের প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী এক দশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে না। এই প্যাটার্নটি টেলিযোগাযোগ খাত (৪৬%), উৎপাদন (৪৩%), স্বাস্থ্যসেবা (৪২%), প্রযুক্তিসহ (৪১%) বিভিন্ন সেক্টরে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বড় ধরনের অর্থিক সংকটের পর যখন ৫৮ শতাংশ পতন রেকর্ড করা হয়েছিল, তখন নিজস্ব কম্পানির প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার প্রতি সিইওদের আস্থাও নাটকীয়ভাবে কমেছিল।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ব্যাবসায়িক আস্থা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়, যা ফ্রান্সে ৭০ থেকে ৬৩ শতাংশ, জার্মানিতে ৯৪ থেকে ৮২ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ৮৪ থেকে ৭১ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির চেয়ে তাঁদের অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনা সম্পর্কে বেশি হতাশ ছিলেন তাঁরা। সিইওরা পরবর্তী ১০ বছরে তাঁদের নিজস্ব শিল্পের মধ্যে সম্ভাবনার জন্য একাধিক চ্যালেঞ্জও দেখছেন। অর্ধেকেরও বেশি (৫৬%) সিইও বিশ্বাস করেন যে গ্রাহকের চাহিদা/অভিরুচির পরিবর্তন এই সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে।