ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কুমার নদের এপাড়-ওপাড়ের দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কাফুরিয়া সদরদী ও সোনাখোলা এলাকার দুইদল তরুণের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সোনাখোলার ৩-৪ জন তরুণ কাফুরিয়া সদরদী মহল্লার দুই তরুণকে মারধর করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোগলাডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা ভাঙ্গা কাজী মাহবুব উল্লাহ কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিক মৃধাকে (১৮) মারধর করে সোনাখোলা এলাকার লোকজন।এ ঘটনার প্রতিবাদে কাফুরিয়া সদরদী এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সোনাখোলা এলাকায় হামলা চালান। এ সময় নজরুল শিকারী (৫৪) নামের এক চাল ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর করে। পরে সোনাখোলার লোকজন প্রতিরোধ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় অন্তত আরো ৩৭জন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৫ গুলি, সাতটি কাঁদানে গ্যাস ও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে উভয় পক্ষের লোকদের সরিয়ে বিকেল তিনটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ভাঙ্গা থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সকাল থেকে দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে এবং কাঁদান গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।