প্রেমিকা হলেই পেতেন বাড়ি-গাড়ি, বিলাসবহুল জীবনযাপন! কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের এমন প্রস্তাবের কথাই নিজের জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন নোরা ফাতেহি। আদালতে ২১৫ কোটি অর্থ আত্মসাতের মামলার হাজিরায় এই জবানবন্দি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে নোরার এই জবানবন্দির বিপরীতে সুকেশের একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে, যাতে সুকেশ উল্লেখ করেছিলেন যে তার এবং জ্যাকলিনের সম্পর্ক নিয়ে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছিলেন নোরা। শুধু তা-ই নয়, নোরা বরাবরই জ্যাকলিনের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন এবং সব সময় সুকেশকে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলতেন।
তবে এবার সুকেশের আরেকটি নতুন অভিযোগ সামনে এসেছে নোরার বিরুদ্ধে। সুকেশের নতুন অভিযোগ, তার টাকায় মরক্কোতে বাড়ি কিনেছেন নোরা! এমনকি গাড়িসহ প্রচুর অর্থও নিয়েছেন অভিনেত্রী।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সুকেশ দাবি করেছেন, নোরা ইতিমধ্যে মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায় তার পরিবারের জন্য একটি বাড়ি কেনার জন্য সুকেশের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ নিয়েছেন। এখন মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে এসব বিষয় গোপন রাখছেন। উল্টো অভিযোগ করছেন সুকেশের বিরুদ্ধে।
নোরার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সুকেশ বলেন, ‘আমার সাথে পরিচয়ের পর থেকেই নোরা অনেক কিছু পেয়েছে। তার পুরনো গাড়িটি পরিবর্তন করে পছন্দের গাড়ি দিয়েছি। আসলে আমি তাকে রেঞ্জ রোভার দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু গাড়িটি স্টকে ছিল না। সে জরুরিভাবে গাড়ি চাইলে আমি তাকে বিএমডাব্লিউ এস সিরিজ দিয়েছিলাম, যেটি সে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেছিল। যেহেতু সে ভারতীয় নয়, সে তার সবচেয়ে ভালো বন্ধুর স্বামী ববির নামে নিবন্ধন করতে বলেছিল আমাকে। এভাবেই সে আড়ালে ছিল।’এ ছাড়াও নোরার বিরুদ্ধে সত্য লুকানো ও নিজেকে বাঁচাতে সুকেশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আনার দাবিও করেছেন সুকেশ।
এই মুহূর্তে কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের মামলাটি দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের অধীনে রয়েছে। সোমবার মামলার যুক্তিতর্ক স্থগিত করা হয়েছে। আদালতে জ্যাকলিনের ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি চাওয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে আদালতে।