আবাসিকে গ্রাহক পর্যায়ে প্রি-পেইড মিটারের চাহিদা বেড়েছে। গ্যাস ও টাকা সাশ্রয়ের কারণে গ্রাহকরা প্রিপেইড মিটারে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। নতুন প্রকল্পের এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এর মধ্যে প্রিপেইড মিটারের জন্য সাড়ে ১২ হাজার গ্রাহক আবেদন করেছেন। আর এসব গ্রাহকের জন্য মিটার প্রয়োজন হবে প্রায় ৭৯ হাজার। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসিকের ১ লাখ প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রথম দফায় চট্টগ্রামে আবাসিকে ৬০ হাজার মিটার বসানো হয়েছে। প্রায় ১৭ হাজার গ্রাহক প্রথম দফায় প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এতে দেখা গেছে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের কারণে অনেক গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে। আর গ্রাহকদেরও মাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার খরচ হচ্ছে। অথচ নন-মিটারে দুই চুলায় ১ হাজার ৮০ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে গ্রাহক টাকা অনুপাতে গ্যাস ব্যবহার না করেও বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানিতে আবাসিক গ্রাহক খাতে দৈনিক প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। ফলে সকল গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা গেলে অনেক গ্যাস সাশ্রয় হবে।প্রথম দফায় সফলতার পর কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি দ্বিতীয় দফায় আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ মিটার বসানো হবে। এতে প্রায় ১৫ হাজার সংযোগ মিটারের আওতায় আসবে।
কেজিডিসিএলের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় যথাসময়ে প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি। গত দুই-তিন মাস আগে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু এতে কোনো ঠিকাদার নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে পরবর্তীকালে আবার রি-টেন্ডার করা হয়েছে। এখনো ঠিকাদার চূড়ান্ত হয়নি।কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড চট্টগ্রামে গ্যাস বিপণনের দায়িত্বে রয়েছে। কোম্পানির অধীনে আবাসিক সংযোগ রয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৯৮ হাজার। শুধু আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। ১ লাখ প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের পর আরেক প্রকল্প গ্রহণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। পর্যায়ক্রমে আবাসিকের সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান। এখন মহানগর এলাকার বাসিন্দাদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। পরে নগরীর বাইরের আবাসিক গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। এতে সাশ্রয়কৃত গ্যাস অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে।