দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা ফের ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সার কারখানার রিফরমার টিউব লিকেজ দেখা দেওয়ায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানার কর্তৃপক্ষ। এতে চলতি মৌসুমে ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় পড়েছে কৃষকরা।
যমুনা কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে উপজেলার তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে যমুনা সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় পরে তা ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টনে নেমে আসে। গত বছরের জুন মাসে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দেয়। প্রয়োজন মাফিক গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় ২১ জুন যমুনার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গ্যাস সরবরাহ করলে ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদনে ফিরে যমুনা সার কারখানা।
এদিকে চলতি বছরের গত জানুয়ারি মাসে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ মি. তানাজি এস. পন্দেকারের নেতৃত্ব একটি দল কারখানার অ্যামোনিয়া প্লান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের সময় তিনি এনজি বুস্টারের একটি ভুল বাটনে চাপ দেন। এতে বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া প্লান্ট বন্ধ হয়ে ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকদিন চেষ্টা চালিয়ে ইউরিয়া উৎপাদনে গেলেও রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কারখানার রিফরমার টিউব লিকেজ দেখা দেওয়ায় ফের ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
যমুনা সারকারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ি ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার যমুনার সার উত্তোলন করেন। দীর্ঘ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকলে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় সার সংকটে চলতি মৌসুমে ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ায় শঙ্কায় আছেন সার ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদুল্লাহ খান বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটিতে কারখানার উৎপাদন বন্ধ। ত্রুটি সারিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে উৎপাদনে ফেরার কাজ চলছে।