নাগপুরে শনিবার ভারতের কাছে লজ্জাজনকভাবে হারের পাশাপাশি লজ্জার নজির গড়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। এ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে তারা মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায়। যা দেশে বিদেশে মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আর ভারতের মাটিতে করা এটি সর্বনিম্ন স্কোর অস্ট্রেলিয়ার।
এর আগে ১৯৮১ সালে মেলবোর্নে তারা ৮৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। যা ভারতের বিরুদ্ধে তাদের করা সর্বনিম্ন স্কোর। এ ছাড়া ২০০৩ সালে ওয়াংখেড়েতে আবার ৯৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ১৯৫৯ সালে অজিদের ইনিংস ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। আর ১৯৬৯ সালে দিল্লিতে তারা অলআউট হয়েছিল ১০৭ রানে। কিন্তু এ দিন ভারতের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধেই সর্বনিম্ন স্কোর করল অস্ট্রেলিয়া।বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে দুই ‘রবি’র গনগনে তেজে একেবারে জ্বলেপুড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। রবিচন্দ্র অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা মিলে দুই ইনিংসে অজিদের মোট ১৫টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। ভারতের দুই স্পিনারকে কোনো ইনিংসেই খেলতে পারেননি অজি ব্যাটাররা।
নাগপুরের ২২ গজ স্পিন সহায়ক হলেও খেলার অযোগ্য ছিল না। রোহিত শর্মা তো এই পিচেই সেঞ্চুরি (১২০) হাঁকান। এ ছাড়াও রান পেয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা (৭০), অক্ষর প্যাটেল (৮৪), মহম্মদ শামিরা (৩৭)। তবু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা সে অর্থে দাঁড়াতেই পারলেন না কোনো ইনিংসেই। প্রথম ইনিংসে মার্নাস ল্যাবুশেন (৪৯), স্টিভ স্মিথ (৩৭) অ্যালেক্স ক্যারিরা (৩৬) কিছুটা রান পেয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে একমাত্র স্মিথ (২৫) ছাড়া কেউ প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি।বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। এর পর ভারত প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করে এবং ২২৩ রানের বিশাল লিড পায়। অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২.৩ ওভারে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় এবং ভারতের প্রথম ইনিংসের লিডও তারা টপকাতে পারেনি। এবং ম্যাচটি ভারত এক ইনিংস এবং ১৩২ রানে জিতে যায়।
২০০৪ সালের পর ভারতের মাটিতে কখনো টেস্ট সিরিজ জেতেনি অস্ট্রেলিয়া। নাগপুরের ভারতের পারফরম্যান্সের পর, এবারের সিরিজ জয় নিয়েও আশাবাদী সকলে। স্টিভ স্মিথরা স্পিনের বিরুদ্ধে যে রকম পারফরম্যান্স করেছে, তাতে চিন্তায় থাকতে হবে অজি থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে