নিত্যপণ্যের বাজারে চলছে অস্থিরতা। পাল্লা দিয়ে চিনির দামও বেড়েছে।দাম কমাতে আসন্ন রমজান উপলক্ষে ভারত থেকে চিনি আমদানি করতে চান ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান তারা।ব্যবসায়ী নেতারা জানান, রমজান ছাড়া মাসে গড়ে দেড় লাখ মেট্রিক টন চিনি প্রয়োজন হয়। আর রমজানে প্রয়োজন তিন লাখ মেট্রিক টন। প্রায় দ্বিগুণ। এজন্য অপরিশোধিত চিনি আমদানির অনুরোধ জানান তারা। একইসঙ্গে, রমজান মাস উপলক্ষে আমদানি প্রক্রিয়ায় বাড়তি কর মওকুফ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাশেম বলেন, ৪০ বছরের ব্যবসায় জীবনে চিনি গত ৩-৪ মাস ধরে বিক্রি করি না। চিনি বিক্রি করলেই দাম নির্ধারণের ব্যাপার আসে, মনিটরিং-এর ব্যাপার আসে। তাই চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছি। বাজারে চিনির একটা ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে। রমজান আসলে এ টানাটানি আরও বাড়বে। আমরা আমদানির জন্য পর্যাপ্ত এলসি খুলতে পারছি না।তিনি আরও বলেন, বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, না হলে সমাধান হবে না। দামের চাইতেও পর্যাপ্ত সরবরাহের দিকে জোর দিতে হবে।
এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো.আমিন হেলালী, হাবীব উল্লাহ ডন ও পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার।