বাংলাদেশে ফরাসি রাষ্ট্রদূত মাহি মাদুপুঁই বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে এই সাক্ষাৎকালে উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে দেশে নারীর ক্ষমতায়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদের স্পিকার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার পদসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের পদায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে জানান, দেশের আর্থসামাজিক এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানামুখী পদক্ষেপের ফলে।স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন দেশে মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাত্র ১৪ বছরে মাথাপিছু আয়ের এই উন্নতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের ফলেই সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের কাছে অতীতের দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশের ছবি অবিশ্বাস্য মনে হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দেশের এই অগ্রযাত্রায় বিদ্যুৎ, পানি, কৃষি, জ্বালানি ও শিল্পখাতে চাহিদা দিন দিন বাড়বে।
মো. তাজুল ইসলাম ফরাসি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে এসব খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে উভয় দেশের সম্পর্ক মজবুত এবং দুই দেশের জনসাধারণই উপকৃত হবে।মন্ত্রী বলেন, সরকার গ্রামের মানুষের উপার্জন বৃদ্ধির জন্য নানামুখী প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ গ্রামের মানুষের আয় বাড়লে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পাবে; তাতে জাতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। এ সময় তিনি ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে ফ্রান্সের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে বিশ্বের এক নম্বর ব্যবস্থাপনা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।মাহি মাদুপুঁই এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ফ্রান্সের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা নেওয়ার জন্য তার দেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।