২০২১ সালে উদ্বোধনের পর থেকে ৩৭৫ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত শুধু অনলাইনেই ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে ৩৭৫ কোটি টাকা। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ম্যানুয়ালি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর কেবল অনলাইনেই দেওয়া যাবে।এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে শতভাগ ‘অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর’ (এলডি ট্যাক্স/ জমির খাজনা) আদায় শুরু হলে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
এ সময় স্থানীয় পর্যায়ে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচিব বিভাগীয় কমিশনারদের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ভূমিসচিব মাঠ পর্যায়ে পুরোনো নামজারির ডাটা এন্ট্রির ব্যাপারেও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেন।মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপিত নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্র থেকে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে এ সেবা সম্প্রসারণ করা হবে। জেলাভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকদের ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য প্রাইভেট এজেন্টশিপ নীতিমালা করা হচ্ছে। কল সেন্টার ১৬১২২ ছাড়াও এসব সেবা কেন্দ্রে নাগরিকরা সরাসরি গিয়ে ভূমিসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রাইভেট এজেন্ট কার্যক্রম মনিটরের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং উপজেলা ও জেলাভিত্তিক নাগরিক কমিটি করা হবে।
সভায় প্রদর্শিত সচিত্র প্রদর্শনীতে দেখা যায়, বিভাগীয় শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপিত ভূমিসেবা কিয়স্ক ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল। কিয়স্ক বিভিন্ন জনবহুল এলাকা যেমন- স্টেশন, বিপণিবিতান, অফিস কমপ্লেক্স ইত্যাদি জায়গায় পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে। নাগরিকরা প্রয়োজনীয় ফি দিয়ে প্রয়োজনীয় আবেদন ও জমির খতিয়ান প্রিন্ট করতে পারবেন।
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, ডিজিটাল রেকর্ড রুম, আন্তঃজেলা ভূমি বিরোধ, ভূমি অফিস নির্মাণ, জনবল নিয়োগসহ প্রভৃতি ভূমিবিষয়ক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় সমন্বয় সভায়।ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিকসহ বাংলাদেশের সব বিভাগীয় কমিশনার এবং ভূমি মন্ত্রণালয় ও আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।