অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের চারপাশজুড়ে সামুদ্রিক বরফের পরিমাণ অনেক কমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৭০-এর দশকে স্যাটেলাইটের সাহায্যে পরিমাপ শুরু করার পর থেকে বরফের পরিমাণ কখনোই এত কমেনি। দক্ষিণের গ্রীষ্ম চলাকালীন এতটা কম সামুদ্রিক বরফ অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার। তাদের ভাষ্য অনুসারে, এই বছরটি ব্যতিক্রম।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ গোলার্ধে এখন গ্রীষ্মকাল চলছে। এই সময়ে এই অঞ্চলে সারা বছরের চেয়ে তুলনামূলক কম বরফ দেখা যায়, কিন্তু চলতি বছর বরফের পরিমাণ মাত্রাধিক হারে কমে গেছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রেকর্ড করা তথ্যে দেখা গেছে, উষ্ণ বায়ু ও পানির কারণে এরই মধ্যে সাত লাখ ৩৭ হাজার বর্গমাইল এলাকার বরফ গলে গেছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, গ্রীষ্মের এখনো অনেক সময় বাকি। তাই বরফ গলনের পরিমাণ আরো বাড়বে। সবর্শেষ রেকর্ড অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সাত লাখ ৪১ হাজার বর্গমাইল এলাকার বরফ গলে যায়। চলতি বছর এই রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত সাত বছরের মধ্যে ২০১৭, ২০২২ ও ২০২৩ সালে সর্বনিম্ন বরফের পরিমাণ রেকর্ড করা হলো। গবেষক ও মাছ ধরার জাহাজগুলোও একই কথা জানিয়েছে। তারা বলছে, অ্যান্টার্কটিকার বেশির ভাগ জায়গাই কার্যত বরফমুক্ত। শুধু দক্ষিণ মহাসাগরের অংশ ওয়েডেল সাগরে হিমায়িত বরফের আধিক্য দেখা গেছে।