বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি ‘কমেছে’

প্রতিনিধির / ১২৩ বার
আপডেট : শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি ‘কমেছে’
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি ‘কমেছে’

দীর্ঘদিন ধরেই পতনের মধ্যে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এর মধ্যে গেলো সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে গেছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই) সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ২২ শতাংশ কমে গেছে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি নির্ণয় করা হয় মূল্য আয় অনুপাত দিয়ে। সাধারণত ১০-১৫ পিইকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিমুক্ত ধরা হয়। আর কোনো কোম্পানির পিই ১০-এর নিচে চলে গেলে, ওই কোম্পানির শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত বা বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ ধরা হয়।গত সপ্তাহের লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট। এক সপ্তাহ আগে এই মূল্য আয় অনুপাত ছিল ১৭ দশমিক ৮২ পয়েন্ট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য আয় অনুপাত কমেছে দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ।

এদিকে, তিন খাতের পিই এখনো সার্বিক বাজার পিই’র নিচে রয়েছে। এই তিন খাতের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক, সাধারণ বিমা ও টেলিযোগাযোগ। এর মধ্যে সব থেকে কম পিই রয়েছে ব্যাংকখাতের। বর্তমানে এই খাতের পিই রয়েছে ৭ দশমিক ৮০ পয়েন্ট, যা এক সপ্তাহ আগের ছিল ৭ দশমিক ৮০ পয়েন্টেই।১৫ দশমিক ৩০ পিই নিয়ে এর পরের স্থানে রয়েছে সাধারণ বিমাখাত। এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ১৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট। পরের স্থানে থাকা টেলিযোগাযোগ খাতের পিইও ১৭ দশমিক ৫০ পয়েন্ট, এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ১৭ দশমিক ৫০ পয়েন্ট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এ খাতের পিই অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাকি খাতগুলোর পিই বাজার পিইর ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি পিই সিমেন্ট খাতের। এ খাতের পিই দাঁড়িয়েছে ১৫৪৭ দশমিক ৩০ পয়েন্টে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬৩ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।সর্বোচ্চ পিইর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চামড়াখাত। এ খাতের পিই ৫০ দশমিক ৯০ পয়েন্ট, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ দশমিক ৩০ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা অব্যাকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বা লিজিং খাতের পিই দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট, যা এক সপ্তাহ আগেও একই জায়গায় ছিল।

এছাড়া ওষুধ খাতের পিই ১৮ দশমিক ৪০ পয়েন্ট থেকে কমে ১৮ দশমিক ৩০ পয়েন্ট হয়েছে। জীবন বিমাখাতের পিই আগের সপ্তাহের মতো ৭২ দশমিক ৫০ পয়েন্টে রয়েছে। সিরামিক খাতের পিই ৪২ দশমিক ৯০ পয়েন্ট থেকে ৪২ দশমিক ৩০ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে।

প্রকৌশল খাতের পিই ৩৭ দশমিক ৮০ পয়েন্ট থেকে ৩৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের পিই ২১ দশমিক ৮০ পয়েন্ট থেকে ২০ দশমিক ৮০ পয়েন্ট, খাদ্যখাতের পিই ২১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট থেকে ২০ দশমিক ২০ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই ১৯ দশমিক ৩০ থেকে ১৯ দশমিক ২০ পয়েন্ট হয়েছে। আইটিখাতের পিই আগের মতো ৩০ দশমিক ৬০ পয়েন্টেই রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Categories