বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, পদ্মা সেতুর সাথে বেনাপোল স্থলবন্দর যুক্ততে ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণ আরো বৃদ্ধি পাবে। ভারতের বিশেষ করে কলকাতার সাথে যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পদ্মা সেতুর সাথে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি প্রশস্ত হওয়া জরুরি। সেই সাথে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবেই বন্দরের সুফল পাবে দুই দেশের ব্যবসায়ীসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা।
তিনি বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। পরে দুপুরে বন্দর অডিটরিয়ামে প্রশাসন ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বেনাপোল স্থলবন্দরে এসে পৌঁছলে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ফুল দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় হাইকমিশনারের স্ত্রী শ্রমতি মনু ভার্মা, উপ হাইকমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, বন্দরের জয়েন্ট সেক্রেটারি সরোয়ার হোসেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল, বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়াত হোসেন, ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ, বন্দরের ডেপুটি পরিচালক মনিরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভুঁইয়া, ভারত বাংলাদেশ চেম্বারের বন্দর সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় হাইকমিশনার বেনাপোল বন্দরের চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন এবং বন্দর এলাকা ও বন্দরের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এ সময় ভারতগামী ও ভারত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীদের খোঁজ-খবরও নেন তিনি।
পরে সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে বিএসএফ এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের যাত্রী হয়রানি, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানে করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।